আরিফ জেবতিক: যেসব বুদ্ধিজীবীরা হা-হুতাশ করে বলছেন যে সারাদেশে পূজা বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ করার দরকার ছিলো, আমি তাদের সঙ্গে একমত নই। হামলাকারীরা চায় পূজা বন্ধ হোক, পূজা বন্ধ করে দিলে তাদের উদ্দেশ্যই চিরতার্থ হতো। আর যারা হা-হুতাশ করে বলছেন যে ‘হিন্দু নেতারা কই, তারা কেন শক্ত প্রতিবাদ করে না’ আমি তাদের সঙ্গেও একমত নই। হিন্দু মার খেলে হিন্দু নেতারাই যদি খালি প্রতিবাদ করে, তাহলে চলবে না। প্রতিবাদ করতে হবে সবাই মিলে, সম্মিলিতভাবে।
বাংলার হিন্দু, বাংলার মুসলমান, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান- আমরা সবাই বাঙালি। শক্ত করে পরস্পরের হাতে হাত ধরে সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে। চোখে চোখ রেখে বলতে হবে, ‘নট এফ্রেইড’! ডরাই না!
[২] দুর্গাপূজা ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার পুরো দায়ভার সরকারের। ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়াটা একমাত্র সমাধান নয়। গত কয়দিন ধরে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছিলো তখন সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। সারাদেশে বিজিবি টহল দেওয়া প্রয়োজন ছিলো। যেসব নেতারা উগ্রবাদ ছড়ায় ও হামলায় জড়িত থাকে, স্থানীয় প্রশাসন থেকে তাদের কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। যে কোনো পূজামপের দুই কিলোমিটারের মধ্যে যেসব মসজিদ আছে সেগুলো থেকে যাতে সন্ত্রাসীরা মিছিল বের করার সুযোগ না পায়, সেটা নিশ্চিত করার দরকার ছিলো। মসজিদের ইমাম সাহেবদের অনুরোধ করার দরকার ছিলো যাতে জুম্মার খুতবায় শান্তি ও সহনশীলতার ব্যাপারে তাঁরা জোরদার অবস্থান নেন। সরকার ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে।
লেখক : অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
আপনার মতামত লিখুন :