শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৫৯ রাত
আপডেট : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হেলাল মহিউদ্দীন: লাজুকের জন্মবিস্ফোরণ ঘটেছে শহর ও গ্রামে!

হেলাল মহিউদ্দীন: লাজুক মানুষ বাড়তে বাড়তে বাংলাদেশ একটি লাজুক মানুষের দেশে পরিণত হয়েছে। পেটে ভাত নেই, কিন্তু কারো কাছে হাত পাতা যাচ্ছে না। আত্মসম্মানবোধ শরীরে লেপ্টে গেছে। পোড়া শরীরের এঁটে যাওয়া দগদগে ক্ষতের মতো! নিবিত্ত থেকে শহুরে নিমধ্যবিত্ত হতে চলছিলো একদল মানুষ। স্বপ্ন ছিলো একদিন মধ্যবিত্ত হবে। নিমধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত হওয়ার দর্শনও আয়ত্ত করে নিয়েছিলো। ‘খাও না খাও উপোস করতে হয় করবে, কাউকে বুঝতে দেওয়া যাবে না। বুঝতে দেওয়া অপরিসীম লজ্জার’। করোনা এলো। নিয়ে গেলো চাকরি-আয়-উপার্জন সঞ্চয়।

বাড়ি ভাড়া দেওয়ার সাধ্য নেই। হাত পাতা যাবে না। বলা যাবে না আমি-আমরা আর পারছি না। তাই তারা ফিরেও গেলো গ্রামে। ভেবেছিলো ফের শহরে ফিরবে। ফিরবে কী, নিত্যদিনের দানাপানিই জোটানো যাচ্ছে না! দাম আকাশ ছুঁয়েছে। আগে তাদের আত্মসম্মানটুকু বিকোতে হতো না। তাদের হয়ে একদল মানুষ প্রতিবাদ করতো। রাস্তায় নামতো। তখন লজ্জা ভেঙে তারাও মিশে যেতো তাদের মিছিলে। এখন চারদিক সুনসান। কোথাও কেউ নেই। লজ্জা ভাঙানোর মানুষেরা হাওয়ায় উবে গেছে। এদিকে নতুন নতুন লাজুকে সয়লাব হয়ে আছে শহর গ্রাম। লাজুকের জন্মবিস্ফোরণ ঘটেছে। এই সত্যের সহজ অর্থ সমতালে নির্লজ্জও বেড়েছে। ধনী বাড়লে যে রকম সমতালে গরিবও বাড়ে। কার্ল মার্কস জাতিস্মর হয়ে এলে হয়তো শ্রেণির নতুন সংজ্ঞা হাজির করতেন- এই দেশে মানুষেরা দুইটি শ্রেণিতে বিভক্ত-লাজুক ও নির্লজ্জ!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়