রিয়াজুর রহমান : আগামী একমাসের মধ্যে কর্ণফুলী নদী ও উভয় তীরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ ও সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমানকে এসব কথা জানান।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা কখন উচ্ছেদ করা হবে শীর্ষক প্রশ্নের জবাববে এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, পাহাড় পরিবেষ্টিত নদী বিধৌত চট্টগ্রাম বাংলাদেশের লাইফ লাইন খ্যাত। বাংলাদেশের অর্থনীতির সিংহভাগ চট্টগ্রামের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। অর্থনীতি সঞ্চালিত হওয়ার আসল যে জায়গাটি সেটি হচ্ছে কর্ণফুলী নদী। কারণ চট্টগ্রাম বন্দর কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। কিন্তু আমরা দেখছি কর্ণফুলী নদী এবং নদীর উভয় তীর দখল হয়ে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলে- স্বার্ধান্বেষি মহল নামে বেনামে দখল করে কর্ণফুলীর প্রবাহমান ধারাকে সংকুচিত করেছে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এবং পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে কর্ণফুলী নদীর তীরে আগেও অভিযান চালিয়েছি। কোভিডের কারণে জাতীয় ভাবে সকল উচ্ছেদ কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ছিল বিধায় আমাদেরও উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে। এখন কোভিড যেহেতু নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কর্ণফুলী নদীর তীরে বড় বড় স্থাপনা রয়েছে তাই যে সমস্ত সংস্থার সহযোগিতা নেয়া প্রয়োজন সে সকল সংস্থার সহযোগিতা নিয়ে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
অতি দ্রুত বলতে কত দিনের মধ্যে এই প্রশ্নের জবাব জনাব মমিনুর রহমান বলেন, আগামি একমাসের মধ্যে আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়ে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করবো।
নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সাথে সাক্ষাতের সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনি আক্তার, এনডিসি ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো: তৌহিদুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :