খালিদ আহমেদ: [২] বুধবার (১৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ ম্যান্টিটস্কি সাক্ষাত করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।বাসস
[৩] বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
[৪] তিনি আরও জানান, উভয়ে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করার ওপর গুরুত্বরোপের পাশাপাশি কৃষিখাতের সুযোগসমূহ অন্বেষণে সম্মত হন।
[৫] প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
[৬] বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধকালে যে দেশ আমাদের দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে তারা আমাদের হৃদয়ের বিশেষ জায়গায় রয়েছে।’
[৭] শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, অনেক ছাত্রই রাশিয়ায় পড়াশোনা করেছিল, বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাংলাদেশ সফরে এলে আমরা খুশি হবো।
[৮] রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ ম্যান্টিটস্কি বলেন, তিনি ২০ বছর আগে ঢাকা এসেছিলেন। কিন্তু দেশের বর্তমান অগ্রগতি ও উন্নয়ন ‘ব্যাপক ও উল্লেখযোগ্য’।
[৯] তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বন্ধুত্বের শুরু ১৯৭১ সালে, কারণ তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া দেশটির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।
[১০] রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। রুশ দূত রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে তার দেশের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
[১১] দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এগুলোর হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা খাতে দু’দেশের সহযোগিতা জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। অ্যাম্বাসেডার এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।