লিহান লিমা: [২] দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আফ্রিকান দেশগুলোতে বৈচিত্র মোকাবেলার ব্যর্থতাই ছিলো সেখানে সংঘাতের মূল কারণ। তিনি ১৯৬০-এর দশকের পর থেকে নাইজেরিয়ার বায়াফ্রান যুদ্ধ থেকে শুরু করে সম্প্রতি ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলের সংঘর্ষের ওপর আলোকপাত করে এই মন্তব্য করন। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
[৩]থাবো এমবেকি কঙ্গো, বুরুন্ডি, আইভরি কোস্ট এবং সুদানে সংঘর্ষের করণে হিসেবে জাতিগত বৈচিত্র্যের বিষয়টি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে কেন্দ্রীয় ব্যর্থতাকে দায়ী করেন। সিয়েরা লিওন ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের ২০০৪ সালের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে তিনি বলেন, বৈচিত্রের বিষয়টি মোকাবেলার ব্যর্থতার ফলে দেশটি ১৯৯১ সালে শুরু হওয়া ১১ বছরের যুদ্ধের সম্মুখীন হয়ে এবং ক্যামেরুনে যে সহিংস সংঘাত হয়েছে এবং এখনো চলছে তার কারণও জাতিগত বৈচিত্র মোকাবেলায় ব্যর্থতা।
[৪]ফ্রান্সে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস ডি রিভিয়ার বলেন, আন্টলান্টিক মহাসাগর এবং লোহিত সাগরের মধ্যে উত্তর আফ্রিকাগুলো বিস্তৃত সাহেল অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠিগুলো ঘৃণা উস্কে দিতে সম্প্রদায়েরগুলোর মধ্যে বিভাজনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। ইরাক, ইয়েমেন এবং সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক অঞ্চলে জাতিগত এবং ধর্মীয় সহিংসতা বিরাজমান।
[৫]ইউএন সিকিউরিটি এন্ড ডাইভারসিটি কাউন্সিলের সভাপতি উহরু কেনিয়েত্তা পরিচালিত সভায় বলা হয়, আমি আজ যে বার্তা দিতে চাই তা হলো জাতিগত বৈচিত্র মোকাবেলায় দুর্বল ব্যবস্থাপনাই আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তাকে হুমকিতে ঠেলে দিচ্ছে। দেশগুলোর মধ্যে জাতিগত বৈষম্য সন্ত্রাস, বিদ্রোহ, জেনোফোবিয়া, বিদ্বেষমূলক বক্ততা, উপজাতীয় বিভাজন এবং বর্ণবাদের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে ।
[৬]১৯৯৪ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ হুতু সম্প্রদায় ৮ লাখ তুতসি এবং মধ্যপন্থী হুতুদের গণহত্যা করে। রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগমে বলেন, সংঘাতের মূল কারণগুলো যদি বিস্তৃত পরিসরে বোঝা যায় তবেই টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।