শিরোনাম
◈ আমরা তীব্র মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছি: যুবদল সভাপতি (ভিডিওি) ◈ পরকীয়া ঠেকাতে ছেলের কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইটে ‘বোমা’ আতঙ্ক ছড়ানোয় মা-সহ গ্রেপ্তার ৩: র‍্যাব ◈ মালয়েশিয়ায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার: যৌথ তদন্তে কাজ করবে ঢাকা-কুয়ালালামপুর ◈ “বাংলা মাতৃভাষা বললে বিদেশি”, আসামে আসন্ন আদমশুমারি ঘিরে হিমন্ত বিশ্বশর্মার মন্তব্যে তোলপাড় ◈ চান্দিনায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ ◈ ঘোড়াশালে এক কেজি কাঁচামরিচের দাম ৬০০ টাকা”ক্রেতারা দিশেহারা ◈ ‘আমরা মানুষ হবো কবে?’:মিটফোর্ডে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে আজহারীর হৃদয়বিদারক প্রতিক্রিয়া ◈ মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: “নরপিশাচদের সামলান” — তারেক রহমানকে এনসিপি নেতা সারজিস আলমের কড়া বার্তা ◈ সেনাবাহিনী-পুলিশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অপপ্রয়াস চালানো হচ্ছে: আইএসপিআর ◈ মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যা: দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আশ্বাস আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ০২:১৯ রাত
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ০২:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দিলরুবা শরমিন: মুসলিম আইনে মা সন্তানের আইনগত অভিভাবক নন

দিলরুবা শরমিন : ‘মুসলিম আইনে মা সন্তানের আইনগত অভিভাবক নন’, আইনগত অভিভাবক বাবা। মা শুধু জিম্মাদার বা হেফাজতকারী। ‘মা কিন্তু গার্ডিয়ান নন, মাকে অভিভাবক হিসেবে ধরা হয় না, মা হচ্ছেন বাচ্চার কাস্টোডিয়ান বা হেফাজতকারী।’ ‘ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে যে সাত বছর সে মায়ের কাছে থাকবে তখন সে বাবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবে। মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত সে মায়ের হেফাজতে থাকবে। এ সময় বাবা তার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। এই সময়ের পর সন্তানদের তার বাবা চাইলে নিয়ে যেতে পারেন। তবে নির্দিষ্ট বয়সের পরও সন্তানের জিম্মাদারী যদি কোনো মা রাখতে চান তাহলে সেক্ষেত্রে তাকে আদালতে আবেদন করতে হবে।

‘অনেক সময় দেখা যায় যে, তালাক হলেও যদি বাবা-মায়ের মধ্যে তেমন সমস্যা বা বিতর্ক না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সন্তানদের যৌথ হেফাজতে দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাবা কিংবা মা দুজনই চাইলে সন্তানদের রাখতে পারেন।’ ‘সেক্ষেত্রে হয়তো মায়ের কাছে চার দিন আর বাবার কাছে তিন দিন বা তাদের সুবিধামতো থাকতে পারে।’ তবে জিম্মাদারী বা হেফাজত নিয়ে যদি বিতর্ক তৈরি হয় তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের পর অর্থাৎ ছেলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাত বছর আর মেয়েদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও যদি মা নিজের হেফাজতে রাখতে চান, তখন তাকে আলাদাভাবে আদালতে আবেদন করতে হবে। এ ধরনের আবেদনের পর আদালত যে বিষয়টি বিবেচনায় নেন সেটি হচ্ছে, সন্তানের কল্যাণের জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো, সেটিই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন আদালত।

আদালত সাধারণত চান যে, হেফাজতের ক্ষেত্রে বাবা-মা দুজনই থাকুন। তবে ধরে নেওয়া হয় যে, মায়ের কাছেই সন্তানরা সবচেয়ে বেশি ভালো থাকবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, মা যদি আর্থিকভাবে সচ্ছল না হন বা তার যদি আয় না থাকে তাহলে সেটি মামলাকে দুর্বল করে তোলে। ‘কোর্ট এখানে অনেক কিছুকে বিবেচনায় নেন। যেমন ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি সেটা বাবা-মা যার কাছেই থাকুক না কেন, এছাড়া অন্যান্য বিষয় যেমন ড্রাগ ইস্যুও বিবেচনায় নেওয়া হয়।’ বাবা-মায়ের মধ্যে যদি কারো বিরুদ্ধে গুরুতর কোনো অভিযোগ থাকে যেমন মাদকাসক্ত হওয়া কিংবা অপরাধমূলক কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ, তাহলে আদালত কখনোই তার কাছে সন্তানের জিম্মাদারী দিতে চান না। ‘যার কাছে থাকলে সন্তানের সর্বোচ্চ কল্যাণ হবে তার কাছে থাকারই অনুমোদন দেন আদালত।’ তবে সন্তান বাবা কিংবা মাÑ যার সঙ্গেই থাকুক না কেন, অপরপক্ষকে সন্তানের সঙ্গে দেখা করা ও সময় কাটানোর অনুমোদন দেওয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে। তবে এক্ষেত্রেও তার বিরুদ্ধে মারাত্মক কোনো অভিযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়।

গুরুতর অভিযোগ না থাকলে সপ্তাহে দুই দিন বা তিন দিন দেখা করতে পারেন। তবে দেখা করার অনুমোদন থাকলেও যদি বাবা কিংবা মাকে দেখা করতে না দেওয়া হয় তাহলে যাকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তিনি আবার বিষয়টি নিয়ে আদালতে যেতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়