ইমরুল শাহেদ: এক শ্রেণীর নির্মাতা নিজেদের সুবিধা মতো স্টার, সুপারস্টার, অভিনেতা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে বিদেশি তারকা নিয়ে ছবি নির্মাণ করছেন। সেখানে সরকার প্রণীত নীতিমালা কতোটা মানা হচ্ছে সেটা হলো দেখার বিষয়। কিন্তু এই নিয়ে স্থানীয় শিল্পীরা মনোক্ষুণ্ন হলেও কেউ মুখ খুলছেন না। দু’একজন নির্মাতা অবশ্য তাদের মতামত দিয়েছেন, দেশের শিল্পীরা ঘরে বসে আছেন। তাদের কাজে না লাগিয়ে কোনো অজুহাতেই বিদেশি তারকার কর্ম সংস্থান এখানে করে দেওয়া উচিত হয়।
যাহোক এ বিষয়টি পেছনে ঠেলে বলা যায়, ঢাকার চলচ্চিত্রে সঠিক উদ্যোক্তার অভাবে নির্ভরশীল তারকা তৈরি হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে মীর্জা সাখাওয়াতের ‘ভাঙন’ ছবির শুটিং করছিলেন মৌসুমী। শুটিংয়ের এক অবসরে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, চলচ্চিত্রে তাদের উত্তরাধিকার কে? মৌসুমী বলেন, ‘আপাতত দৃশ্যমান না হলেও এসে যাবে। পরীমণি যথেষ্ট সম্ভাবনাময় একজন নায়িকা।’ যখন তাকে বলা হলো পরীমণির জীবনে সম্প্রতি অনেক নেতিবাচক লংকাকাণ্ড ঘটে গেছে, তার প্রতি দর্শক প্রতিক্রিয়া কি হবে? মৌসুমী বলেন, সেটা ঠিক হয়ে যাবে। শাবনূরকে নিয়েও অনেক কেলেংকারি হয়েছে। কিন্তু সে নিজেকে সংশোধন করে এগিয়েছে। উঠে এসেছে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। পরীমণিকেও সংশোধন হতে হবে। যদি সে নিজেকে সংশোধন করে এগুতে পারে তাহলে সেও একটা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে পারবে। পূজা চেরি মেয়েটিও ভালো করছে। চাইলে সেও একটা অবস্থান তৈরি করতে পারবে।
মাহিয়া মাহিও মন্দ কাজ করছে না। আর অন্য নায়িকাদের কাজ দেখিনি এজন্য তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না। আসলে সময়টা একেবারে বদলে গেছে। আমরা যেই প্ল্যাটফর্ম এবং যে অনুকূল সময়ে চলচ্চিত্রে এসেছি, সেই সময়টা এখন নেই। বলতে গেলে এখন যারা চলচ্চিত্রে আসছেন, তারা একটা অভাবের সংসারের সঙ্গেই যুক্ত হচ্ছেন।’ অভাব বলতে মৌসুমী বুঝাতে চেয়েছেন যে, সংকুচিত প্রদর্শন ক্ষেত্র, মহামারি বিধ্বস্ত চলচ্চিত্র অর্থনীতি, আগ্রহী উদ্যোক্তার অভাব ইত্যাদি বিষয়। তারপরও মৌসুমী আশাবাদী ঢাকার চলচ্চিত্রে প্রাণের সঞ্চার হবে নতুন উদ্যোমে।
আপনার মতামত লিখুন :