জাকির হোসেন: [২] ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বিপুল ঢাকার সাভার থেকে নিখোঁজের ৭ দিনেও সন্ধ্যান মিলেনি। পুলিশ বলছে, ব্যবসায়ী বিপুলকে উদ্ধারে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
[৩] বিপুলের পরিবার জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিপুল চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যান। এরপর ১ অক্টোবর শুক্রবার সাভারে তাঁর চাচাতো ভাই সোহাগের বাসা থেকে বিকালে বের হন। ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ আছে।
[৪] বিপুলের বড় ভাই শাহিনুর রহমান বলেন, ‘১ অক্টোবর সর্বশেষ আমার বাবা, তাঁর স্ত্রী এবং কাজের ছেলে তৈমুরের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় বিপুলের। ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন তিনি।’
[৫] বিপুলের স্ত্রী ফেরদৌসি বলেন, ‘শুক্রবার (১ অক্টোবর) রাত ৮টার পরে বিপুল ফোনে আমাকে জানান, ‘আমি এখন ফোন বন্ধ করে রাখব। সবাই ফোন দিচ্ছে, আমার বিরক্ত লাগছে। ফোন বন্ধ করে ঘুমাবো।’ তাঁর স্ত্রী আরও জানান. শনিবার(২ অক্টোবর) রাজধানীর শ্যামলী কিডনী হাসপাতালে কিডনির অপারেশনের কথা ছিল ব্যবসায়ী বিপুলের।
[৬] ব্যবসায়ী বিপুল নিখোঁজের ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন তাঁর মেঝো ভাই সাইদুর রহমান।
[৭] বাংলাদেশ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের ধানমন্ডি শাখার ইন্সপেক্টর ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিপুলকে উদ্ধারে অনুসন্ধান চলছে। পুলিশের সব শাখা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।’
[৮] সাভারের ট্রাফিক থানার ইন্সপেক্টর ইকরামুল হক চৌধুরী জানান, পীরগঞ্জে সন্তান বিপুলকে খুঁজে পেতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।