আশরাফুল আলম খোকন: এই অস্থির পৃথিবী ৫/৬ ঘণ্টার জন্য কিছুটা শান্ত ছিলো। বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশীয় অঞ্চলগুলো। যারা সোশ্যাল মিডিয়াকে সংবাদের উৎস মনে করে, মানসম্মান, খ্যাতি-কুখ্যাতির মাপকাঠি মনে করে। এতোটাই অস্থির যে কয়েকজন আমাকেও ফোন করে বললো, সরকার নাকি গুজব ঠেকাতে দেশে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে। আসলে বিশ্বব্যাপীই ফেসবুক ও হোয়াটসআপ সাময়িক বন্ধ ছিলো। ফেসবুকে ইচ্ছা করলেই কারো চরিত্রহনন করা যায়,পাশাপাশি গুণকীর্তনও করা যায়। সেখানেও পয়সা খরচ করে পোস্ট বুস্ট করতে হয়। এর সবই সাময়িক বিকৃত প্রশান্তি। টাকাপয়সা দিয়ে খ্যাতি অর্জন করা গেলে পৃথিবীর সব পয়সাওয়ালারা সম্মানীয় হতেন। আল্লাহ যাকে সম্মানিত করেন ফেসবুক দিয়ে তাকে অসম্মানিত করা যায় না। সাময়িক বিভ্রান্তি হয়তো তৈরি হয়। আর সেটা একসময় শাপেবরও হয়। আমার কথাই বলি।
বিদেশে বসে কিছু লোকের প্রোপাগান্ডার হাতেখড়ি হয়েছে আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করে। প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগলেও একসময় দেখলাম এসবই আমার জন্য আশীর্বাদ। কীভাবে আশীর্বাদ সেই ব্যাখ্যায় যাবো না। কিন্তু আমি চুপ ছিলাম। কোনোদিন তাদের নাম নিয়ে কিছুও বলিওনি, করিওনি। কখনো করবোও না। কারণ যদি তাদের দাগ থেকে আমার জন্য ভালো কিছু হয় তাহলে তো দাগই ভালো। এখন তারা তারা লেগেছে। যারা মজা দিয়েছে এবং যারা মজা নিয়েছে। এই দুই অসুস্থ গোষ্ঠীই একদিন নিজেরা নিজেরাই ধ্বংস হবে। তখন সুন্দর-সুস্থ একটা পৃথিবী হবে।