ইমরুল শাহেদ: ক্যারিয়ারের এক দশক পার করলেন মাহিয়া মাহি। তবে করোনা মহামারির কারণে দুই বছর প্রায় সব চিত্রতারকাকেই কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়েছে। মাহিও তার ব্যতিক্রম নন। সে অর্থে ক্যারিয়ারের বয়স ধরতে হবে আট বছর। ২০১২ সালের ৫ অক্টোবর ‘ভালোবাসার রঙ’ সিনেমার নায়িকা হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন মাহি। এই সময়ের ক্যারিয়ারে মাহির আছে একটা আফসোস।
মাহি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভক্তরা আমার সিনেমা দেখতে চান, আমাকে পছন্দ করেন, আমাকে ফেসবুকে অনুসরণ করেন, এটা আমার বড় পাওয়া। চলচ্চিত্রে এসে এমন অনেক কিছু পেয়েছি। এত তাড়াতাড়ি পাব, ভাবিনি। আবার আফসোসও আছে। দেশের একদম সীমান্তে এলাকায় গিয়েও যদি কাউকে বলা যায়, শাবনূরকে চেনেন কি না? সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা চিনতে পারবেন। তিনি সেভাবেই দর্শকের কাছে পৌঁছেছেন। দেশের আনাচকানাচে শাবনূর আপাকে দর্শক চেনেন। সেই জায়গায় হয়তো এখনো সেভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারি নাই। সে রকম একটা জায়গায় গেলে আফসোস কমত। যেতে পারব কি না, জানি না।
দেশের সব শ্রেণির দর্শক যেন আমার কাজকে পছন্দ করেন, এখনো সেই চেষ্টা করছি।’ ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া জাকির হোসেন রাজুর ‘পোড়ামন’ ছবিটি দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। পরের বছর মুক্তি পায় ছয়টি সিনেমা। ‘অগ্নি’, ‘দবির সাহেবের সংসার’, ‘দেশা: দ্য লিডার’, ‘অনেক সাধের ময়না’ সিনেমাগুলো তাঁর ক্যারিয়ারকে আরও বেশি পাকাপোক্ত করে। পরে কিছুটা বাছবিচার করে কাজ করতে থাকেন মাহি। হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে ‘কৃষ্ণপক্ষ’, পরে ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘জান্নাত’সহ একাধিক সিনেমায় নতুন করে নিজেকে পর্দায় হাজির করেন। জাজ মাল্টিমিডিয়ার হাত ধরে আসা মাহি এখনো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজ তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ জাজ মাল্টিমিডিয়া। ওপরওয়ালার পরে আপনাদের জন্যই আজকে আমি মাহিয়া মাহি।’