সুজন কৈরী: [২] কেমিস্ট বা ল্যাব ছাড়ায় তৈরি হচ্ছিল দেশি-বিদেশি নামিদামি ব্র্যাণ্ডের স্ক্রীন কেয়ার (ত্বকের যত্নের প্রসাধনী) নকল প্রসাধনী সামগ্রী। আবার তা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রির জন্য বাজারজাত করা হচ্ছিল।
[৩] সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল এসব প্রসাধনী তৈরির কারখানার সন্ধান পায় এলিট ফোর্স র্যাব। প্রায় ৪ ঘন্টার অভিযানে জব্দ করা হয়েছে বিভিন্ন ব্রাণ্ডের বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী সামগ্রী।
[৪] র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর ৬ নম্বরের ডি ব্লকের একটি নকল ও ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে পাকিস্থানের নুর হোয়াইটিং ক্রিম, ইলোরা হোয়াইটিং ক্রিম, স্ক্রীন গ্লো ক্রিম, ভারতের ফেস মি বিউটি ক্রিম, ফেয়ার লুক ক্রিম, লোটাস হোয়াইটিং ক্রিম এবং ফোর কে প্লাস হোয়াইটিং ক্রিম তৈরি হচ্ছিল।
[৪] তিনি আরো বলেন, এসব প্রসাধনী মানুষ ত্বকের যত্নে ব্যবহার করে থাকে। যা তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে মোম, ভ্যাজলিন, সাবানের পাউডার, ইউরিয়া সার ও নকল সুগন্ধি ব্যবহার করা হচ্ছিল। পরে সেগুলো ব্লিলেন্ডার করে মোড়কজাত বা প্যাকেটিং করে বিদেশি পণ্য বলে চকবাজার সহ বিভিন্ন জায়গাতে বাজারজাত করছিল। এই ধরনের কারখানা পরিচালনার জন্য কেমিস্ট ও ল্যাব ফ্যাসিলিটিসহ অন্যান্য যেসব কিছু থাকা দরকার তার কোনকিছু সেখানে ছিল না।
[৫] র্যাব জানায়, কারখানার মালিক আনিছুর রহমান। তার বিরুদ্ধে আগেও রঙ ফর্সা হবার ক্রিমসহ ভুয়া কোম্পানি খোলার অপরাধে কুষ্টিয়া আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিএসটিআই মামলা করবে।