স্পোর্টস ডেস্ক: [২] অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিআইজে প্যান্ডোরা পেপারস নামের এই গোপন নথি প্রকাশ করেছে, যে তালিকায় এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের নাম। টেন্ডুলকারের পাশাপাশি এসেছে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার নামও।
[৩] মাত্রই লিগ লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী লিভারপুলের বিপক্ষে লিভারপুলের মাঠ থেকেই ড্র করে এসেছে গার্দিওলার দল। সাদিও মানে ও মোহাম্মদ সালাহর দুটি দুর্দান্ত গোল শোধ করেছেন গার্দিওলার দুই শিষ্য ফিল ফোডেন ও কেভিন ডি ব্রুইনা। এক পয়েন্ট ছিনিয়ে এনেছেন অ্যানফিল্ড থেকে। গার্দিওলার এখন যথেষ্ট স্বস্তিতেই থাকার কথা। কিন্তু প্যান্ডোরা পেপারস সেটা হতে দিচ্ছে কোথায়!
[৪] তবে গার্দিওলার এই আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টা আজকের নয়। ম্যানেজার গার্দিওলা নন, বরং খেলোয়াড় গার্দিওলাই নিজের বাড়তি আয়ের বিষয়টা লুকিয়েছিলেন স্পেনের কর কর্তৃপক্ষের কাছে। ১১ বছর ধরে বার্সেলোনার হয়ে খেলার পর ২০০১ সালে কাতালান ক্লাব ছেড়ে ইতালিয়ান ক্লাব ব্রেসিয়ায় যোগ দেন গার্দিওলা। শুধু ব্রেসিয়াই নয়, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এএস রোমা, কাতারি ক্লাব আল আহলি ও মেক্সিকান ক্লাব দোরাদোস দে সিনেলোয়ার হয়েও খেলেছিলেন গার্দিওলা।
[৫] ২০০৭ সালে বার্সেলোনার যুব দলের কোচ হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন গার্দিওলা। তখন পাকাপাকিভাবে স্পেনে ফিরেছিলেন। স্পেনে ফেরার পর দেশটির কর কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিক তথ্য দাখিল করতে হয়েছিল। সেখানেই গোঁজামিল দিয়েছিলেন গার্দিওলা। দুই বছর কাতারের আল আহলিতে থাকার সময় যা আয় করেছিলেন, সেটি জানাননি স্পেনের কর কর্তৃপক্ষকে। শুধু এটিই নয়, স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল পাইসের তথ্যানুযায়ী অ্যান্ডোরায় গার্দিওলার একটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টও আছে।
[৬] কাতারের লিগে খেলে গার্দিওলা যা আয় করতেন, তা এই অ্যাকাউন্টেই জমা রাখতেন। ২০১২ সাল পর্যন্ত সে অ্যাকাউন্ট চালু ছিল। এরপরই ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন গার্দিওলা। ওই সময়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজয় কর ফাঁকি দেওয়া মানুষদের জন্য একটা সুবিধা করে দিয়েছিলেন। গোপন আর্থিক লেনদেনকে নীতিসিদ্ধ করার জন্য সে অর্থের ১০ শতাংশ সরকারকে দিলেই আর কোনো ঝামেলা হবে না এমন একটা নিয়ম করেছিলেন রাজয়। বলে হচ্ছে, গার্দিওলা সে নিয়মের সুবিধাই নিয়েছেন। দ্য সান, প্রথমআলো