মুনমুন শারমিন শামস: সমাজ ক্যামনে একটা মানুষরে মানুষ না বানায়া আস্ত একটা ব্যাডা বানায়ে রাখে তার জলজ্যান্ত উদাহরণ এই তামিমার স্বামী লোকটা। সমাজ এই লোকডারে পুরুষ বানাইসে, যে পুরুষ নারীর দখল নিয়া অন্য পুরুষের সঙ্গে কাইজ্জা করারে পুরুষত্ব ভাবে।‘অবশ্য পুরুষত্ব তাই-ই পিতৃতন্ত্রের সংজ্ঞায়।’ মান্ধাত্তা আমলে পুরুষ ডুয়েল লড়তো, নারীর দখল নিয়াও লড়তো। মানে কত্ত বড় ছাগলা হয়া যায়, ভাবেন। তার মাথায় এখন প্রেম-ভালোবাসা সংসার এসব কিচ্ছু নেই। তার মাথায় খালি পুরুষের ইজ্জত। এক ব্যাডা তার বউরে ভাগায়া নিয়া গেসে, সেই ব্যাডার কাছে তার পরাজয় হইসে। মানে আরকি তার বউ নিজের ইচ্ছায় চইলা গেসে, ওইটা কোনো ব্যাপারই না তার কাছে। এখনও বউ ফিরা পাইতে মাইক নিয়া আহন জানাইতেসে।
কতো বড় বেকুব! বউটার কারে ভালো লাগে না লাগে, বউয়ের তারে সহ্য হয় নাকি হয় না, সেসব কোনো ম্যাটারই করতেসে না এই লোকের কাছে। তিনি বউয়ের দখল নেয়ার জন্য মরিয়া, খাড়া। মানে বউ একটা গাড়ি কি বাড়ি কি জমি টাইপ কিসু। অন্য ব্যাডায় দখল নিসে, সেই দখল ছুটায়ে ফের পাল্টা দখল বুইঝা নিতে চান। দাম্পত্য সম্পর্ক, ভালোবাসা, প্রেম কিছুই গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হইল দখল। বুঝেন, পুরুষতন্ত্র পুরুষের কী রকম হাল কইরা ছাড়ে। তারা বুঝেই না,কতোবড় ছাগলা হইলে এইসব দখলদারির সুযোগ সুবিধা নিয়া প্রেমহীন শাসক হয়া আস্ত জীবন কাটায় দেয় তারা। আর ভাবে, খুব মজা লাগতেসে। এই মজাও যে আসলে মজা না, সেই ঘিলুটাও তৈরি হয় না। আহা পুরুষ,গভীর সমবেদনা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :