সাইদুর রহমান: ‘অর্থনৈতিক মুক্তি’ নামে নতুন গান শুরু হয়েছে। যারা এই গান তুলেছেন বুঝছি তাদের অর্থনেতিক সমস্যা নেই। তাদের অর্থনৈতিক ভিত্তি অনেক মজবুত। অর্থনৈতিক মুক্তি-গানধারীদের গ্রাম-বাংলা বা শহরের অলিগলির সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখুন, ঢাকা শহরে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বস্তিবাসীর মতো বসাবস করেন। করোনা মহামারিতে গ্রাম-গঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থাও করুণ। বিগত কয়েক বছরে গুটিকয়েক মানুষ এতো সম্পদের মালিক হয়েছেন যে, নিজেরাই তাদের সম্পদ কতো সে সম্পর্কে জানেন না।
পেশিশক্তির সঙ্গে প্রশাসনিক শক্তি থাকায় তাদের জনগণের কাছেও যাওয়া লাগে না। বাংলাদেশে ৫ বছর অন্তর ভোট দেওয়ার যে বিরাজমান গণতন্ত্র ছিলো সেটি এখন জাদুঘরে। সমাজের দর্পন ভেঙ্গে চুরমার। জবরদস্তির জনপ্রতিনিধি হওয়ার ফলে জনগণের প্রকৃত চিত্র জানার সুযোগ নেই। কার্যত ৩০লাখ শহীদ ও ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জ্বতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কখনোই অর্থনৈতিক মুক্তি হয়নি, হয়েছে ক্ষমতাবানদের। যারা সত্যকে গলাটিপে হত্যা করে মিথ্যার জয়গান করে। যারা সবকিছুই জনগণের উপর চাপিয়ে রাজনীতি করে। ফেসবুক থেকে