শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২১, ০৭:৩২ বিকাল
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০২১, ০৭:৩২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বগুড়ায় নারী ইউপি সদস্য হত্যাকাণ্ডে স্বামী গ্রেফতার

বগুড়া প্রতিনিধি: [২] ধুনটে ইউপি সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী রেশমা হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়া গেলেও এ হত্যার রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। পারিবারিক কিছু বিষয় নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে নিহত রেশমার স্বামী ফরিদুল ইসলামকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

[৩] শুক্রবার দুপুরের পর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফরিদুল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আলতাব আলীর পুত্র। এ হত্যাকান্ডে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলেও তাদের কেউই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি।

[৪] মামলা সূত্রে জানা যায়, কুড়িগাতী গ্রামে ধানক্ষেত থেকে ২২ সেপ্টেম্বর ইউপি সদস্য রেশমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত রেশমার ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ নেই। তবে তদন্তে মাঠে নামে পুলিশ। মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে রেশমার পরকীয়া প্রেমিক নরেশ চন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

[৫] তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোবিন্দপুর গ্রামের জুয়েল সেখ ও শান্তি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে শান্তি বেগম এ হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী। আর জুয়েল সেখ গোবিন্দপুর থেকে ভ্যানে রেশমার লাশ কুড়িগাতী গ্রামে ধানক্ষেতে ফেলে দিয়ে আসে। বিজ্ঞ আদালতে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে শান্তি ও জুয়েল। তাদের তথ্যমতে, এ হত্যায় প্ররোচনাকারী হিসেবে গ্রামের মাতব্বর নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

[৬] পাঁচ বছর আগে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে রেশমা একাধিক পর পুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অবাধ্য স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে ফরিদুলের পরিকল্পনায় গ্রামের এক ব্যবসায়ীসহ ৭ জনসহ এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। সেই সন্দেহ থেকেই ফরিদুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

[৭] ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা এ প্রতিবেদক-কে বলেন, ইউপি সদস্য রেশমা হত্যাকান্ডে এ পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৩জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আরও ৪জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের পর এ হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়