ডেস্ক নিউজ: ইভ্যালি সচল হলে গ্রাহকরা ফিরে পাবে তাঁদের টাকা। তাই নানা ভাবে আন্দোলন ও স্মারকলিপি দিয়ে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। কিন্তু তাঁদের এই আর্তনাদ যেন কেউই শুনছেনা। বাংলাদেশে এই জাতীয় আর্থীক অনিয়মের বিষয়ে পূর্বে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত পাবার নজির নেই। বছরের পর বছর আদালতে চললেও গ্রাহকরা ফিরে পায়নি তাঁদেন টাকা।
এমন অবস্থায় গ্রাহকদের একটাই দাবি, রাসেলের মুক্তির ও ইভ্যালি সচল করে দেয়া।
এদিকে ইভ্যালি সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের গ্রেপ্তারের দিন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি পুরাতন সাইক্লোনের অর্ডার আস্তে আস্তে দেয়া শুরু করেছিল।
গ্রাহকরা বলছেন, আরও কয়েকমাস সময় দিলে প্রতিষ্ঠানটি সবার অর্ডার করা পণ্য ফিরিয়ে দিতে পারতো।
এদিকে গ্রাহকদের বিশাল একটি অংশ ইভ্যালির রাসেলের মুক্তি ও সচল করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে। তবে আবার কিছু গ্রাহক একের পর এক মামলা করে যাচ্ছে। যারফলে তাঁদের মুক্তি পাবার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ইভ্যালির সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইভ্যালির দেনার যে পরিমান তা সুযোগ ফেলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব। কারণ গত আড়াই বছরে ইভ্যালি একটি বড়অংশ কাস্টমার তৈরী করতে পেরেছে।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞাপনের পিছনে প্রচুর অর্থ খরচ করে ডিসকাউন্টে পন্য বিক্রি করে নিজেদের একটা অবস্থান করে নিয়েছে।
এমন অবস্থায় গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কথা চিন্তা করে ইভ্যালিকে সুযোগ দেয়া উচিত। তারপর ব্যার্থ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে। তথ্য সূত্র: নিউজ গার্ডিয়ান