ইমতিয়াজ মাহমুদ: তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন কী করে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা কীরকম করে চুল কাটবে বা আদৌ কাটবে কিনা সে ওদের ইচ্ছা। কোনো বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক কী করে নিজেদের পছন্দ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেবেন? এইটুকু সাধারণ জ্ঞান বা এইটুকু নৈতিকতা যার মধ্যে নাই তাকে আপনি কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলবেন? তিনি যেটা করেছেন সেটা তো ছেলেমেয়েদের শারীরিক হয়রানি করা। এটার জন্য তো তার শাস্তি হওয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়টি আবার রবীন্দ্রনাথের নামে। ভেবে দেখুন তো, রবীন্দ্রনাথ মুক্ত বুদ্ধি মুক্ত চিন্তা এইসবের পক্ষে কতো কিছু লিখেছেন! মতপ্রকাশের পক্ষেও তিনি বলেছেন। চুল লম্বা রাখা বা খাটো রাখা বা কোনো বিশেষ স্টাইলে রাখা এটা একজন ছাত্র বা ছাত্রীর নিজের প্রকাশের একটা অংশ- সেখানে অপরে কী করে হস্তক্ষেপ করে। আর এই শিক্ষকটি তো কাচি নিয়ে নেমেছেন। ধিক ধিক। এইটুকু ইয়ে যার নাই, তিনি কী করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন? আমি অবিলম্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে এই শিক্ষকটির বহিষ্কার দাবি করছি। অবিলম্বে। ফেসবুক থেকে