সুজন কৈরী : [২] টিকটক চক্রের খপ্পরে পড়ে অপহৃত অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে গফরগাঁও থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৪। এ সময় অপহরণের অভিযোগে রায়হান হোসেন (২২) নামের একজন যুবককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৩] র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী কাফরুলের বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কয়েকদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও বাড়িতে না ফেরায় ভুক্তভোগীর বাবা র্যাব-৪ এ অভিযোগ করেন। পরে ঘটনার ছায়া তদন্ত করে র্যাবের একটি দল শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণকারী চক্রের অন্যতম হোতা রায়হানকেও।
[৪] গ্রেপ্তার রায়হানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি একটি টিকটক গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপে ৭ থেকে ৮ জন সদস্য রয়েছে। তারা ঘন ঘন লাইভে এসে একে অপরের সঙ্গে বাক্য বিনিময় এবং তথ্য আদান প্রদান করে। এই গ্রুপের অন্যতম সদস্য ঢাকার নর্দায় আজিজ সড়কে অবস্থানকারী গ্রেপ্তার রায়হান, পলাতক রবিন ও খোকন।
[৫] রায়হান একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে গাড়ি চালাতেন। নারায়ণগঞ্জে তার স্ত্রী-সন্তান আছে।
সাজেদুল ইসলাম বলেন, জানা গেছে, পলাতক খোকন একটি বেসরকারী কোম্পানিতে কাজ করেন এবং রবিন নর্দায় একটি সেলুনে কাজ করেন। অনুসন্ধানে টিকটক গ্রুপটির আরও বেশ কয়েকজন সদস্যের নাম পাওয়া গেছে।
[৬] গ্রুপটির অন্যতম দুইজন সদস্য মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, তারা স্কুলপড়ুয়া উঠতি বয়সী মেয়েদের প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে বিপথে পরিচালিত করতেন। তারা অত্যন্ত চালাক। টিকটক গ্রুপের সদস্যরা নানা অপকর্মে লিপ্ত। তারা টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেনামী পরিচয় ব্যবহার করতেন।
[৭] অপহৃত ভুক্তভোগী বেশ কিছু দিন ধরে এই টিকটক গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। নিখোঁজ হওয়ার দিন ভুক্তভোগী বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয় এবং গ্রেপ্তার রায়হান বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে ভুলিয়ে নর্দায় আজিজ রোডের একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে আটকে রাখে। পরে পরিবার তাকে খুঁজে পেতে পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছে জানতে পেরে কৌশলে রায়হান ভুক্তভোগীকে ভাড়া বাসা থেকে বের করে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পাঠিয়ে দেন।
আপনার মতামত লিখুন :