জাহাঙ্গীর লিটন : দেশে মাছের উৎপাদন বাড়লেও জেলেদের জীবনমানের কোনো উন্নতি হয়নি। নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার। অনেকের স্থায়ী ঘরবাড়িও নেই।
কোনোভাবে অন্যের জায়গায় মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন। উপকূলীয় জেলেদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টি দেখতে হবে সামগ্রিক আর্থসামাজিক উন্নয়নের নিরিখে। মেঘনায় মাছ ধরা জেলেদের জীবনের দুরবস্থার কথা উঠে এসেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) আয়োজিত জেলেদের অধিকার নিশ্চিত করণ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তাদের কথায়।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপি কোডেক জেলা কার্যালয় মিলনায়তনে এ কর্মশালায় সহযোগিতা করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
কর্মশালায় জেলে প্রতিনিধি ও বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বেশি। সেখানে বছরের দীর্ঘ একটি সময় মানুষের কাজ থাকে না। এক জেলে আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমাদের জীবনটাই অভিশপ্ত।’ এ অবস্থা থেকে উপকূলীয় জেলেদের বের করে আনতে প্রয়োজন টেকসই কর্মসূচি। জেলেরা মাঝেমধ্যেই জলদস্যুদের আক্রমণের শিকার হয়ে নৌকা, জালসহ সহায়-সম্পদ হারান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে জীবনহানির ঘটনাও ঘটে। তাদের বছরের একটা বড় সময় বেকার বসে থাকতে হয়। কিন্তু এ সময়ে তাঁদের সঞ্চয় বলে কিছু থাকে না। ফলে মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে তাঁদের জীবন বাঁচাতে হয়। তাই অনেক সময় তাঁরা কম দামে মাছ আগাম বিক্রি করে দেন। এছাড়া মেঘনায় মাছ শিকার করতে গেলে জেলেদের নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় বলেও বক্তারা অভিযোগ করেছেন।
কোডেক পিআরইডিএফসি প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোরশেদা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বিল্লাল হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কাশেম। কোডেক এর প্রজেক্ট অফিসার মোহাম্মদ হানিফ এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কোডেক পিআরইডিএফসি প্রজেক্ট লক্ষ্মীপুরের ট্রেনিং ও ডকুমেন্টেসন অফিসার দে দুলাল হাওলাদার, ফিল্ড ফেসিসিটেটর ক্লারেন্স ডায়েস, মনোয়ার হোসেন, সফিউল্যাহ প্রমুখ। এসময় স্থানীয় জেলে ও কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।