শিরোনাম
◈ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও সময়মতো জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আহ্বান বিএনপির স্থায়ী কমিটির ◈ কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয়  ৪৫ লাখ টাকা ◈ ভার‌তের কা‌ছে পাত্তাই পে‌লো না অস্ট্রেলিয়া, ম‌্যাচ হার‌লো ৪২ রা‌নে ◈ শুল্ক চুক্তির অধীনে মা‌র্কিন উ‌ড়োজাহাজ নির্মাতা বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২৫টি বিমান কিনছে বাংলাদেশ ◈ টিটিপাড়ায় ৬ লেনের আন্ডারপাস, গাড়ি চলাচল শুরু শিগগিরই (ভিডিও) ◈ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিপূরণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ বার্তা ◈ ভালোবাসার টানে মালিকের সঙ্গে ইতালি যাওয়া হলো না সেই বিড়াল ক্যান্ডির! ◈ ৬৬ পর্যবেক্ষক সংস্থা পেল নিবন্ধন, নতুন নীতিমালায় পুরনো ৯৬টির নিবন্ধন বাতিল ◈ সরকারি দায়িত্ব শেষ, পেশাগত কাজে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যাপক আলী রীয়াজ: ফিরবেন কিছুদিন পর ◈ ৯ দল নিয়ে এনসিপির রাজনৈতিক জোটের সম্ভাবনা: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:৩৯ রাত
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৮:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] অবশেষে দুই বিতর্কিত এসআই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা থেকে বদলি

এ এইচ রাফি: [২] অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের বিতর্কিত দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলমকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক আদেশে রফিকুল ইসলামকে সরাইল ও জাহাঙ্গীরকে নবীনগর থানায় বদলি করা হয়েছে। এই দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

[৩] শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন সাংবাদিকদের জানান, তাদের এখানে (সদর মডেল থানা) অনেকেদিন হয়ে গেছে। সেজন্য বদলি করা হয়েছে।

[৪] সম্প্রতি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসআই রফিক ও জাহাঙ্গীরের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমানের কাছে তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। তখন পুলিশ সুপার জানান, কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে- সেটি তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[৫] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে এসআই রফিক ও জাহাঙ্গীর অনেকের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন।

[৬] ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের কলামুড়ি গ্রামের তাজুল ইসলামের দুই ছেলে মনির হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন স্থানীয় নন্দনপুর বাজারে মুদি ব্যবসা করেন। গত ২৭ মার্চ হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নন্দনপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৬ জন মারা যান। সংঘর্ষের সময় ভিডিও ফুটেজে সাদ্দামকে দেখা গেছে জানিয়ে তাকে মামলা থেকে রক্ষা করার কথা বলে টাকা দাবি করেন এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত আবুল হোসেন।

[৭] বুধল ইউনিয়ন বিট পুলিশের ইনচার্জ এসআই রফিক ও সুহিলপুর ইউনিয়ন বিট পুলিশের ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীরকে টাকা দিতে হবে বলে জানান সোর্স আবুল হোসেন। তখন মামলায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে আবুল হোসেনকে ৪৫ হাজার টাকা দেন সাদ্দামের বড়ভাই মনির।
এ ঘটনা জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরবর্তীতে টাকা ফেরত দেন সোর্স আবুল হোসেন। তবে সোর্সের এই টাকা লেনদেন কাণ্ডে ‘ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে’ আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন এসআই রফিক। পরে তাকে হেফাজতের তাণ্ডবের সময় গ্যাস ফিল্ড কার্যালয়ে হামলা মামলায় চালান দেওয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়