স্পোর্টস ডেস্ক: [২] ম্যাচের শুরু থেকেই অসাধারণ খেলে আসছিলেন আলেকসান্দ্রে ওদিকজা। পিএসজি ফরোয়ার্ডের একের পর এক প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন তিনি। বিশেষকরে কিলিয়ান এমবাপের একাধিক নিশ্চিত গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন। তাতেই হয়তো মেজাজটা বিগরে গিয়েছিলো এমবাপের। ম্যাচ শেষে মেতজ গোলরক্ষককে খোঁচা মেরেই যতো বিপত্তি বাঁধান এ তরুণ।
[৩] ঘরের মাঠে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিএসজির বিপক্ষে লড়াই করে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে মেতজ। ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করলেও ৩৯তম মিনিটে সমতায় ফিরেছিল তারা। আর দারুণ জমাট রক্ষণে জাল আগলে রেখেছিল ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
[৪] কিন্তু ম্যাচের যোগ করা সময়ে সবকিছু পাল্টে যায়। অহেতুক বলে লাথি দিয়ে লাল কার্ড দেখেন এক খেলোয়াড়। সে ঘটনার প্রতিবাদ করে লাল কার্ড দেখেন তাদের কোচও। এরপর গোলও হজম করে হেরে যায় দলটি। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা দলটির জন্য এক পয়েন্ট যে মহাগুরুত্বপূর্ণ। পাওয়ার খুব কাছাকাছি গিয়েও না পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ মেতজ খেলোয়াড়রা।
[৫] গোল খেয়ে হতাশায় শুয়ে পড়েছিলেন মেতজ গোলরক্ষক ওদিকজাও। কিন্তু এ সময় অবাক কাণ্ড করেন বসেন এমবাপে। সতীর্থদের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় গোলরক্ষকের সামনে এসে কিছুটা একটা বলেন। তাতেই ক্ষেপে যান ওদিকজা। দৌড়ে পিছু নেন এমবাপের। কিছু একটা বলেন তিনিও। বিষয়টি ভালো লাগেনি নেইমারের। এগিয়ে এসে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন ওদিকজাকে।
[৬] এরপর তেড়ে এসেছিলেন পিএসজির বাকি খেলোয়াড়রাও। তবে তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ান মেতজ খেলোয়াড় মেতজ ফ্যাবিয়ান কেনতনজে। বাগবিতণ্ডা তখনও থামেনি। পরে রেফারি এসে তাদের থামান। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে নেইমার ও ওদিকজাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন রেফারি।
[৭] ম্যাচ শেষে এমবাপেকে বিনয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গোলরক্ষক ওদিকজা। এমবাপে, এই খেলোয়াড়কে আমি খুব ভালোবাসি। যদি সে ভালোবাসা পেতে চায় তাহলে তার ব্যবহারে পরিবর্তন আনতে হবে। যদি বিনয়ী হয় তাহলে সেই উপকৃত হবে। ডেইলি স্টার