আল আমীন : [২] ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কমকর্তা মরিয়ম বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন চর হরিপুরের রিকশাচালক মো. জয়নাল আবেদীন। তার ৯ শতক জমির নামজারি ও জমাখারিজ বাবদ ১৯ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারি (ভূমি) মরিয়ম বেগমকে বদলি করা হয়েছে।
[৩] অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক জানান, ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার মরিয়ম বেগমকে গৌরীপুর উপজেলা মাওহা ইউনিয়নে বদলি করা হয়েছে।
[৪] আমাদেরসময় ডট কম এ গত মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। এর আগে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর তিনি এ অভিযোগ দেন।
[৫] অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দেড় বছর আগে এক খন্ড জমি চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খারিজ করতে উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের কাছে যান জয়নাল আবেদীন নামের ঐ রিকশাচালক।
[৬] কাগজপত্র দেখে মরিয়ম বেগম নামজারি ও খারিজ বাবদ তার কাছে প্রথমে ৭ হাজার টাকা দাবী করে বলেন টাকা না দিলে জমি খারিজ হবে না। পরে তাকে ৭ হাজার টাকা দেয়া হয়।
[৭] রিকশাচালক জানান তাকে ৩ মাস ঘুরিয়ে ঐ ভূমি কর্মকর্তা জানান, জমি খারিজ করতে আরো ১৫ হাজার টাকা লাগবে। নিরূপায় হয়ে রিকশাচালক ঐ কর্মকর্তাকে ১৫ হাজার টাকা দেন।
[৮] ১৫ হাজার টাকা দেয়ার প্রায় ১০ মাস পর জয়নালকে একটি নামজারীর পর্চা দেন। সেই সাথে ডিসিআর বাবদ আরো ১ হাজার টাকা নেন মরিয়ম বেগম। পরবর্তীতে হোল্ডিং দেখে জয়নাল জানতে পারেন সেখানে তার কোন জমি নাই, জমি আরেক জনের নামে খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
[৯] পরে রিকশাচালক মরিয়ম এর কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন, কোন টাকা ফেরত দেয়া যাবে না। খারিজ ভুল হোক আর শুদ্ধ হোক এটাই নিতে হবে।
[১০] পরবর্তীতে ২০ সেপ্টেম্বর মরিয়ম বেগমের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি আরো ১৫০০ টাকা দাবি করেন খাজনার চেক কাটার জন্য। পরে তাকে ১৩০০ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু কাগজপত্র পর্যালোচনা করে জানা যায় নামজারিটি ভুল। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :