সুজন কৈরী : [২] আটককৃতের নাম- শামসুজ্জামান (২৬)। তার কাছ থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ৯টি মোবাইল ফোন, সিপিইউ, ৯টি মোবাইল চার্জার, কী-বোর্ড, ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ১৫০পিস কলিং কার্ড, মাউস, এসি অ্যাডাপ্টর, মনিটর, বিভিন্ন ডকুমেন্ট ফাইল ও মনিটর স্ট্যান্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
[৩] বুধবার র্যাব-১০ ও বিটিআরসি’র যৌথ আভিযানে শেরেবাংলা নগরের ইন্দ্রিরা রোড এলাকা থেকে শামসুজ্জামানকে আটক করা হয়।
[৪] শামসুজ্জামান অবৈধ ভিওআইপি এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ ব্যবসা চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে র্যাব।
[৫] র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এনায়েত কবীর সোয়েব বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভিওআইপি এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জের ব্যবসা চালাচ্ছিলো। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন (বিটিআরসি) থেকে লাইসেন্স না নিয়ে সফ্টওয়্যার ভিত্তিক সুইচের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদান এবং ওই স্থাপনা চালিয়ে টেলিযোগাযোগ সেবা দানে প্রদেয় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফ্টওয়্যার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধ ভাবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করতো।
[৬] চক্রটি গত দেড় বছরে সরকার নির্ধারিত বর্তমান আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট অনুযায়ী প্রায় ৪ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।
[৭] আটককৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
[৮] গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সরঞ্জামসহ শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার র্যাব। অভিযানকালে টেলিটকের এক হাজারের বেশি সিম উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছিল, অবৈধ এই ভিওআইপি ব্যবসার মূলহোতা সৌদি আরব প্রবাসী। তিনি সৌদি আরব বসে এই ব্যবসা পরিচালনা করতেন।