শিমুল মাহমুদ: [২] কাঁচাবাজার, শপিংমল, হোটেল-মোটেল-গণপরিবহন মাস্ক ব্যবহারসহ নানা নির্দেশনা লেখা থাকলেও নেই বাস্তবায়ন। এমন চিত্র এখন সারাদেশে। ব্যাক্তিগত দুরত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, মাস্ক ব্যবহারেও অনীহা বেড়েছে বেশিরভাগ মানুষের। নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যে দুই-একজনকে মাস্ক পরছেন তাদের আবার অনেকে মাক্স থাকছে থুতনিতে।
[৩] করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু কমলেও মানুষের এই বেপোরোয়া আচরণে আবারও ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। সংক্রমণ কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করনে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কাজেই স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
[৪] বুধবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে একথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। তিনি বলেন, 'সবাইকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের পজেটিভ রেট ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। তার মানে এই নয় যে, বাংলাদেশ থেকে কোভিড চলে গেছে। আমরা খেয়াল করেছি, অনেকেই মাস্ক পরছেন কিন্তু সঠিকভাবে পরছেন না। নাকের নিচে পরছেন অথবা ঠিকভাবে পরছেন না।
[৫] তিনি আরও বলেন, তাদের কাছে বিনীতে অনুরোধ থাকবে, বর্তমানে লকডাউন নেই, বিধিনিষেধেরও অনেককিছু নেই। আপনারা অনেকে অনেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যাচ্ছেন- যেখানেই যান না কেন এই স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলুন। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রত্যেকে সঠিকভাবে মাস্ক পরুন। তাহলেই অনেক সেফটি পেয়ে যাবেন।
[৬] অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, দু'দিক থেকে যদি আমরা মাস্ক পরতে পারি, ওয়ান টু ওয়ান তাহলে কিন্তু ৯৬ ভাগ সম্ভাবনা থাকবে একজন থেকে আরেকজন না যাওয়ার। যদি একজন মাস্ক পরেন এবং আরেকজন খুলে রাখেন তাহলে কিন্তু সম্ভাবনা ধীরে ধীরে বেড়ে যাবে।
[৭] তিনি বলেন, করোনা শনাক্তের হারে আমরা ভালো অবস্থানে এসেছি এবং এই ভালো অবস্থান থেকে আরও ভালো অবস্থানে যেতে চাই। আমরা ৫ শতাংশেও খুশি নই। বাংলাদেশ সরকার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে আমরা এটিকে শূন্যতে নিয়ে আসতে চাই। সেই শূন্য অবস্থানে রাখতে চাই ২ থেকে ৩ সপ্তাহ। তবেই হয়তো আমরা বলতে পারব, আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।