শরীফ শাওন: [২] উল্লেখ করার মতো অনেক সাফল্য থাকলেও র্যাংকিং এ স্থান পেতে আবশ্যিক কিছু তথ্য দেওয়া সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা না থাকায় পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
[৩] বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম ও বিশ্বায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। র্যাংকিং-এর বিভিন্ন শর্ত ও প্যারামিটার সম্পর্কে শিক্ষক ও গবেষকদের ধারণা দেওয়া গেলে আশা করা যায়, তারা নিরলসভাবে কাজ করবেন।
[৪] চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে উচ্চশিক্ষা স্তরে পাঠ্যক্রম ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে দক্ষ মানব সম্পদ প্রয়োজন। প্রয়োজনের নিরিখে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হলে উচ্চশিক্ষায় গুণগত পরিবর্তন আসবে। পাঠ্যক্রম যেন জীবনমুখী হয়, দক্ষ স্নাতক তৈরি ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা উপযোগী হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
[৫] আবু তাহের জানন, আউটকাম বেইজড এডুকেশন অনুসরণ করে পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে। এর মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃজন হবে এবং শিক্ষায় বৈচিত্র আসবে। স্নাতকেরা চাকরি উপযোগী দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের নিবিড় পরিচর্যা, দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণাবলী বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারাপে করেন।
[৬] বুধবার ইউজিসির পৃথক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসকল বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।