শাহীন খন্দকার: [২] জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণের হার ছিল শতকরা সাড়ে ৫ শতাংশ, মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক কম ছিল। অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে করোনায় আমরা কতটা ভালো করেছি।
[৩] তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো চলছে। করোনার সময়েও আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি রয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের খাদ্যের অভাব হয়নি।
[৪] মন্ত্রী বলেন, আমাদের ৮০০টি করোনা পরীক্ষার ল্যাব বসাতে হয়েছে। ১৫০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হয়েছে।কোথাও অক্সিজেনের অভাব হয়নি। যার ফলে করোনায় আমাদের মৃত্যুর হার তুলনামূলকভাবে কম ছিল। এখন আমরা করোনা ভাইরাসের টিকা দিচ্ছি। টিকা প্রদানে বাংলাদেশ ভালো করেছে। আমরা টিকা তৈরি করি না। যে সমস্ত দেশ টিকা উৎপাদন করে, তারা হয়তো আমাদের চেয়ে বেশি টিকা দিয়েছে।
[৫] তিনি বলেন, ১০ কোটি থেকে ১৬ কোটি ভ্যাকসিন সংগ্রহে ৮ থেকে ৯ কোটি ব্যয় হয়েছে। সঠিক সময়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার অনেক বেড়ে গেছে।
[৬] জাহিদ মালেক বলেন, ২০০৪ সালেও বছরে যেখানে ৭০ হাজার মানুষ য²ায় মারা যেত। বর্তমানে সেটি ৪৮ শতাংশ কমে ২৮ হাজারে নেমে এসেছে। এখন ৯৫ শতাংশের বেশি রোগী সুস্থ হচ্ছেন।’
[৭] মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আক্রান্তের হার শূন্যে আনতে হবে। আর এ কাজে সহায়তা করবে শ্যামলীর এই হাসপাতালের ওয়ান স্টপ কেন্দ্র ও ল্যাবরেটরি।’ করোনাচলাকালীন সময়ে আমাদের হাসপাতালের দরজা বন্ধ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় সার্বিক তত্বাবধানে ক্যান্সার,যক্ষাসহ সকল রোগের চিকিৎসা চিকিৎসকরা দিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক সন্মুখসারির চিকিৎসক নার্সসহ সাংবাদিককে আমরা হারিয়েছি।
[৮] মঙ্গলবার রাজধানীর শ্যামলী ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার ও রিজিওনাল টিবি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি উদ্বোধনী বক্তবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
[৯] স্বাস্থ্য মন্ত্রী এসময়ে যক্ষ্মা রোগ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগে এখন মৃত্যুর হার অনেক কম। নিয়মিত ওষুধ খেলে যক্ষ্মা রোগ ভালো হয়। সুতরাং য²া হলে রক্ষা নেই এ কথা এখন আর প্রযোজ্য নয়। তিনি বলেন, ইউএসএআইডি এর সহায়তায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসুচি ২৫০ শয্যা টিবি এই হাসপাতালে যক্ষারোগীদের অত্যাধুনিক প্রযৃক্তির পরীক্ষা ও ল্যাবরেটরির সুবিধাসমৃদ্ধ
[১০]অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম। বক্তৃতা করেন, যক্ষ্মানিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম, আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, ইউএসএইডের বাংলাদেশের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র্যান্ডি আলী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সিচিব লোকমান হোসেন মিয়া, ইউএস অ্যাম্বাসেডর আর মিলার ও য²া হাসপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. আবু রায়হান। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ