শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:০০ দুপুর
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দীপক চৌধুরী: ‘জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বেঞ্চ উৎসর্গ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা’

দীপক চৌধুরী: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনের বাগানে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করা হয়েছে। সোমবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১ টায় বঙ্গবন্ধুকন্যা এখানে এই বৃক্ষ রোপন করেন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে তখন বলেছেন, ‘এই বৃক্ষটাও শতবর্ষ টিকে থাকবে এবং শান্তির বারতাই বয়ে বেড়াবে।’

প্রকৃতপক্ষেই এটি অনেক বড় কাজ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে আছেন। তিনি সবকিছু উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য। বাংলার মানুষের ধমনিতে রয়েছে তাঁর অস্তিত্ব। আমরা সবাই জানি, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শিকার হন বর্বরোচিত ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের। রাতের শেষপ্রহরে সংঘটিত হয় মহাদুর্যোগ। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা তখন বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে রক্ষা পান। গণতন্ত্রের সাধক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু মানুষের ভালবাসার দুর্লভ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কথাও যেমন তিনি ভেবেছেন, তেমনি সারাবিশে^র ক্ষুধা ও দারিদ্রে জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের কথাও তিনি বলেছেন।

পঞ্চাশ বছর ছুঁই ছুইঁ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। একসময় তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদও শুনেছিলাম। পাকিস্তানি হানাদারদের পরাজিত করে আমরা জয় ছিনিয়ে এনেছি। কতো অসহায় ছিলাম আমরা। এখন আমরা খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা অর্থাৎ সবদিক দিয়েই সামনের কাতারে এগিয়ে চলেছি। আমাদের নিজ পায়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতেন কেবল জাতির পিতা। এই বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর মতো কেউ কখনো ভালবাসেনি। পুরনো পত্রিকা ঘেঁটে পাই, ১৯ আগস্ট, ১৯৭২-এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণে এক জায়গায় বলেছিলেন, ‘যতদিন এদেশে দুঃখী মানুষ পেট ভরে খেতে না পারে, যতদিন অত্যাচার ও অবিচারের হাত থেকে তারা না বাঁচবে, যতদিন না শোষণমুক্ত সমাজ হবে, ততদিন সত্যিকারের স্বাধীনতা আসতে পারে না। রাজনৈতিক স্বাধীনতা আনতে যে ত্যাগের প্রয়োজন, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আনতে তারচেয়ে বেশি কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। রাতারাতি হয় না। কোনোদিন হয়নি। বস্তুত এর কোনো সোজা পথ নেই। ধীর পদক্ষেপে এগোতে হবে। এজন্য অনেক ত্যাগ প্রয়োজন। অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন। একদিনে হয় না। আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি এ সত্য বহুবার উপলব্ধি করেছি।’’

লেখক : উপসম্পাদক, আমাদের অর্থনীতি, সিনিয়র সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়