মাহবুব মোর্শেদ: আমি সোহেল তাজের গুণমুগ্ধ। সিক্স প্যাকের পক্ষের শক্তি। আবার পরীমনিরও গুণমুগ্ধ। হস্তলিপির পক্ষের শক্তি। পরীমনিকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ ঘটছে তা বিশেষ আগ্রহ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি। পরীমনি নিয়ে সোহেল তাজের মন্তব্য রক্ষণশীল হতে পারে। কিন্তু এর পেছনে রাজনীতির ইংগিতটা ভিন্ন। সোহেল তাজ এই মন্তব্য করে রক্ষণশীলদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন। সম্ভবত সামনের মেরুকরণে সোহেল তাজ ডানে হেলবেন। সে পক্ষে খুবই ভাইটাল রোল প্লে করলেও বিস্ময়ের কিছু থাকবে না। পরীমনিকে নিয়ে যারা উচ্ছ্বসিত তাদের রাজনীতিটাও দেখার মতো। পরীমনি জেলখাটা শিল্পী। তার বিরুদ্ধে ভয়াবহ সব অভিযোগ তোলা হলেও কোনোটাই প্রমাণ করা যায়নি। এমনকি তার রিমান্ডও প্রশ্নের সম্মুখীন। শুরু থেকে এ পর্যন্ত তার সাহসটাই সবার চোখে পড়েছে।
এই সাহসটা আমাদের দেশের নারীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে তাতে বিশেষ বিস্ময় নেই। কেননা, মামলা, মাদক, কন্সপিরেসি থিওরি, রিমান্ড, জেল, মিডিয়া জাজমেন্ট এসবের মধ্যে পুরুষরা কী করেন তা তো আমরা দেখেছি অনেক। ফলে, দেশের নারীদের মধ্যে এমনকি আওয়ামীপন্থী নারীদের মধ্যেও পরীমনি হিরোতে পরিণত হয়েছেন। তাদের সমর্থন পরীমনিকে আরও শক্তিশালী করেছে। সামনের নির্বাচনে তাকে নমিনেশন দেওয়ার চেষ্টা করবে দলগুলো। হয়তো আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুদলই তাকে কাছে টানার চেষ্টা করবে। তবে আওয়ামী লীগ সফল হলে অবাক হবো না। পরীমনি ও সোহেল তাজের মধ্যে কিছু মিল আছে। সোহল তাজ সে কারণে হয়তো পরীমনির প্রতি আমাদের অনেকের চেয়ে বেশি সহানুভূতিশীল। তাকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চান বলে দেশের মানুষের পছন্দসই ইমেজে তাকে ভাবতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু পরীমনি ইতোমধ্যে একটা বিপ্লবী ইমেজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। ফলে, শুধু এখনকার হিসাবে তাকে মাপলে হচ্ছে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :