রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী: প্রসঙ্গ পরীমণি। সম্প্রতি তার একটি ছবি, সিগারেট ও হাতের একটি চিহ্ন। আমাদের সতীসাধী স্যার ও ম্যাডামরা হেফাজতের মতো গর্জে উঠেছেন। গেলো গেলো সমাজ উচ্ছন্নে গেলো। প্রতিবাদী প্রতিবাদী বহু স্যার মেমদের বাসায় মেয়েরা ম্যাডামরা এমন পোশাক পরেই থাকেন। এটা কোনো অন্যায় কিছু না। পুরুষ মানুষ বাসায় খালি গায় সর্টস পরে থাকতে পারলে মেয়েরাও হালকা পোশাক পরে রিলাক্স করলেই কঠিন সমস্যা!
আমার আপনারটা লুকানো থাকে পরী মেয়েটা প্রতিবাদী তাই প্রকাশ করেছে। তাঁকে এতোদিন সামাজিকভাবে ধর্ষণ করলেন। তাঁর সবকিছু কেড়ে নিতে চাইলেন, সে অবলার মতো বসে থাকবে? দুনিয়ায় যখন ধর্ষন মহামারী আকার ধারণ করে তখন পশ্চিম থেকে একটা শ্লোগান ওঠে সবঃড়ড়. সেখানে আমরাও সামিল হই। পরীমণিকে সামাজিকভাবে ধর্ষণ করলেন তখন সে হাতের চিহ্নটি দিয়ে ধর্ষণকারীদের মুখে চুনকালি মেখে দিলো তাই আধুনিক শফী হুজুরদের গায়ে আগুন লেগেছে। আমার পোস্ট পড়ে শফী হুজুররা গালি দেবেন সেই ঝুঁকি নিয়েই লিখলাম। সামনেও লিখবো।
সমাজে নারীকেই শুধু সতী থাকতে হবে, আমি আপনি অসৎ হলে সমস্যা নেই! নজরুলের কথায় শেষ করিঅসৎ মাতার সন্তান যদি জারজ হয়/অসৎ পিতার সন্তান সেও জারজ সুনিশ্চয়।