লিহান লিমা: [২] দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকায় জাতির খেতাবটি ধরে রেখেছে নেদারল্যান্ডের মানুষরা। তবে ডাচ গবেষকরা বলছেন, দেশটির জনগণের উচ্চতা দিনদিন খাটো হচ্ছে। সিএনএন
[৩]গত ১০০ বছরে উচ্চতা বৃদ্ধি পেলেও গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২০০১ সালে জন্মগ্রহণকারী ডাচ পুরুষরা ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণকারীদের তুলনায় ১ সেন্টিমিটার (দশমিক ৩৯ ইঞ্চি খাটো ছিলেন। নারীদের ক্ষেত্রে এই পার্থক্যা ১.৪ সেন্টিমিটার ( দশমিক ৫৫ ইঞ্চি)।
[৪] ১৯৮০ সালে জন্মগ্রহণকারী ডাচ পুরুষদের গড় উচ্চতা ছিলো ১৮৩ সেন্টিমিটার (৬ ফুট) এবং তারা ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণকারীদের তুলনায় ৮.৩ সেন্টিমিটার ( ৩.২৭ ইঞ্চি ) লম্বা ছিলেন। ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণকারীদের উচ্চতা ছিলো ১৬৫.৪ সেন্টিমিটার (৫.৪ ফুট)।
[৫]নেদারল্যান্ডের মিউনিসিপ্যাল হেলথ সার্ভিস জিজিডি এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক হেলথ, স্ট্যাটেস্টিক নেদারল্যান্ড এবং আরআইভিএমএর গবেষণায় ১৯ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ লাখ ১৯ হাজার ডাচ বংশোদ্ভূত ব্যক্তির ওপর বিশ্লেষণ করা হয়। তারা তাদের উচ্চতার তথ্য দিয়েছেন এবং ১৯ বছরকে গড় উচ্চতার মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে।
[৬]গবেষকদের মতে, উচ্চতা কম এমন সব জনগোষ্ঠির অভিবাসন বৃদ্ধির সঙ্গে উচ্চতা হ্রাসের বিষয়টির সম্পৃক্ততা রয়েছে। তবে যাদের বাবা-মা উভয়ই নেদারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং চার দাদা-দাদীর চার প্রজন্মই ডাচ বংশোদ্ভূত ছিলেন তাদের উচ্চতাও হ্রাস পেয়েছে। অভিবাসনের কোনো পারিবারিক ইতিহাস না থাকা ডাচ পুরুষদের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় নি, অন্যদিকে নারীদের উচ্চতা হ্রাস পেয়েছে।
[৭]তবে গত ৭০ বছর ধরেই বিশ্বে জাতী হিসেবে দীর্ঘকায় হওয়ার রেকর্ড ধরে রেখেছে ডাচরা।