আবুল কালাম: [২] পাবনার বেড়া উপজেলার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এ এম রফিকউল্লাহর বাড়ি লক্ষ্য করে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা গুলিবর্ষণ ও হাতবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় চলা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। পরে ঘটনার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকরা।
[৩] এর আগে এ ঘটনার প্রতিবাদের চেয়ারম্যান রফিকুল্লাহর সমর্থকরা কাশিনাথপুর মোড়ে রোববার সকাল আটটা থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। এ সময় মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
[৪] পরে দুপুর ১২টার দিকে বেড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু, সহকারি পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুল হাসান, আমিনপুর থানার ওসি রওশন আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
[৫] পরে নগরবাড়ি ঘাট এলাকায় ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ীরা। তারা অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল্লাহর বাড়িতে গুলিবর্ষণ ও ককটেল হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানান।
[৬] সকালে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্লাহ গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, ভোররাত ৪টার দিকে একদল দূর্বৃত্ত তার বাড়ি লক্ষ্য করে ১১টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া ৩টি শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। তবে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
[৭] আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রওশন আলী জানান, বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
[৮] উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুর সাথে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্লাহর নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। জিডি করাতেই পরিকল্পিতভাবে সাবেক সাংসদের সমর্থকরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি ইউপি চেয়ারম্যানের। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক এমপি আজিজুল হক আরজু জানান, এটা একটা ষড়যন্ত্র। তাকে সামাজিক ভাবে হেয় এবং আসন্ন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করেই একটি মহল মিথ্যা নাটক সাজিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :