মহসীন কবির: [২] সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ‘লিখিত ও এমসিকিউ’ মিলিয়ে এবারের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে। এই সূচি ধরে একটি সম্ভাব্য রুটিন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদকে জানিয়েছেন। সংবাদ
[৩] নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসব্যাপী দুই পাবলিক পরীক্ষার সূচি থাকায় এবার অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং মাদ্রাসার জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। এই দুই পরীক্ষা নিয়ে সারাদেশের স্কুল-কলেজগুলো বছরের শেষের দুই মাস ব্যস্ত সময় পার করবে। এ কারণে এবার পঞ্চম শ্রেণীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও (পিইসিই) হচ্ছে না বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
[৪] এসএসসি এবং এইচএসসিতে এবার বিভাগওয়ারি শুধুমাত্র ঐচ্ছিক বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়া হবে। আবশ্যিক বিষয়গুলোর কোন পরীক্ষা হচ্ছে না। অর্থাৎ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধু ‘এচ্ছিক’ অর্থাৎ বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নেবে ঠিক তেমনি মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধু তাদের ‘ঐচ্ছিক’ বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ ক্ষেত্রে আবশ্যিক অর্র্থাৎ বাংলা, ইংরেজি ও ধর্ম-এ জাতীয় বিষয়ের পরীক্ষা হচ্ছে না।
[৫] ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘রুটিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের শুরুতেই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু করতে চাই। আর পরীক্ষা শেষ হওয়ার এক-দেড় মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে চাই।’
[৬] ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসএসসিতে এবার বিজ্ঞান, মানবিক ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে মোট ১২টি বিষয়ের পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘অটোপাস’ ‘নামমাত্র’ পরীক্ষাÑএই খবরে এবার নিবন্ধনকারীদের প্রায় সবাই ‘ফরম পূরণ’ করেছে। পাশাপাশি অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের বেশির ভাগই এবারও ‘ফরম পূরণ’ করেছে।
[৭] পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণে পরীক্ষার সংখ্যা কমেছে। তবে লিখিত, এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেশন) দুটোই হবে। বিজ্ঞানের বিষয়গুওলোর মৌখিক পরীক্ষাও হবে।’
[৮] করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। করোনা সংক্রমণের আগে গত বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া গেলেও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্য এসএসসি এবং অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।