মাজহারুল ইসলাম : [২] সেতুর অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শেষ। এখন চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রঙের কাজ। ঢাকা পোস্ট
[৩] বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের পায়রা নদীর ওপর ২০১৬ সালে লেবুখালী-পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
[৪] চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন’-এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছে।
[৫] এক হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি ক্যাবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে নদীর মাঝখানে একটি মাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে।
[৬] চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর পর এটি দেশের দ্বিতীয়তম সেতু, যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি।
[৭] কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
[৮] সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, মূল সেতুর ৯৯ ভাগ কাজ শেষ। নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই সেতুতে বেশ কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে নদীর মধ্যে এবং পাশে থাকা পিয়ারে যাতে কোনো নৌযান ধাক্কা দিতে না পারে, সে জন্য পিয়ারের পাশে নিরাপত্ত পিলার স্থাপন করা হচ্ছে।
[৯] এ ছাড়া বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুর কোনো ক্ষতি হলো কি না, সেটি মনিটরিং করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই সেতুতে।
[১০] সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে সরাসরি জুমের মাধ্যমে সেতুর উদ্বোধন হবে। এরপরই যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।