শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৬:০৬ সকাল
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৬:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসান শান্তনু : ছাত্রদলের ক্যাডার ইভ্যালির রাসেলকে প্রশ্রয় দিলেন কারা?

হাসান শান্তনু : প্রতারণার ‘প্রতিষ্ঠান’ ই-ভ্যালির মালিক মোহাম্মদ রাসেল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জাবি’ পড়াকালে ছিলেন ছাত্রদলের ভয়ঙ্কর ক্যাডার। জাবির মওলানা ভাসানী হলের ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক পদে ছিলেন তিনি, তখন ওই হল শাখার সভাপতি ছিলেন ছাত্রদলের আরেক ক্যাডার নাজমুল হক শাহানশাহ। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বের চারদলের জোট তখন ক্ষমতায় ছিলো। রাসেল-শাহানশাহ তখন ছিলেন কয়েকটি হলের শিক্ষার্থীদের কাছে আতঙ্কের নাম। রাসেল ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। জাবির ভাসানী, কামালউদ্দিন ও বঙ্গবন্ধু হলের আশপাশের দোকানপাটে চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিতেন তারা। হলে ঠিকাদারি, দরপত্রের সময় অস্ত্রসহ মহড়া দিতেন তারা। বিএনপির সংগঠন ছাত্রদলের তখনকার কেন্দ্রীয় সভাপতির গ্রুপে ছিলেন রাসেল।
জাবির বিভিন্ন হলে গাঁজা, নেশার বড়ি বা মাদক বিক্রির ব্যাপক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। ছাত্রদের হল-রুমে তোলা, ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়া, ফাঁও খাওয়া, ছাত্রলীগের ছেলেদের গেস্টরুমে আটকে নির্দয়ভাবে পেটানোর অভিযোগও আছে। ২০০৯ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটের সরকার গঠিত হলে রাসেল-শাহানশাহের ‘মানিকজোড়’ ভেঙে যায়। নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহানশাহ পড়ালেখা শেষ না করেই তখন বিদেশে পালিয়ে যান, এখন তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী। একজন দেশ ছাড়লেও ছাত্রদলের আরেক ত্রাস রাসেল আত্মগোপনে চলে যান। একপর্যায়ে রাজনৈতিক ভোল পাল্টে প্রকাশ্যে আসেন তিনি, জাবিতে পড়ালেখাও শেষ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঢাবি’ ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট ‘আইবিএ’ থেকে এমবিএ ডিগ্রি নেন ই-ভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা রাসেল।

রাসেল ২০১১ সালে কর্মজীবন শুরু করেন ঢাকা ব্যাংকে চাকরির মাধ্যমে। ছাত্রদলের নেতা পরিচিতির সুবাদে ও বিএনপির শীর্ষ এক নেতার সুপারিশে তিনি ঢাকা ব্যাংকে চাকরি পান। বেসরকারি ঢাকা ব্যাংকের মালিক হিসেবে পরিচিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, অখণ্ড ঢাকা সিটি করপোরেশনের ‘ডিএসসিসি’ সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস। তিনি তখন ব্যাংকটির পরিচালক পদেও ছিলেন। ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে রাসেল ‘কিডস’ ব্র্যান্ডের ডায়াপার আমদানি শুরু করেন। পরে নিয়ে আসেন ই-ভ্যালি, তখনো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রী, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক নেতা ও প্রশাসনের একাংশের সমর্থন, সহযোগিতায় রাসেল ই-ভ্যালির কার্যক্রম এগিয়ে নেন। খুব সহজেই প্রশ্ন আসে- তারা কারা? ছাত্রদলের একসময়ের ক্যাডার রাসেলকে প্রশ্রয় দিলেন কারা? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়