মাসুদ আলম: [২] শনিবার ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, রাজধানীতে আগে প্রায়ই অস্ত্রের মহড়া দেখা যেত, হতো বোমাবাজি। দুই কোটি জনগণের বসবাসের নগরী রাজধানীতে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে ডিএমপি। কোনো ধরনের গোলাগুলি, অস্ত্রের মহড়া, ঝনাঝনানি বরদাস্ত করা হবে না। এসব ঘটনাকে দুর্বলভাবে দেখাও হচ্ছে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
[৩] তিনি আরও বলেন, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে রেমন্ড টেইলার্সের সামনে ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় শুক্রবার কুমিল্লা থেকে দুজনকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ। তারা হলেন- মনিরুজ্জামান সবুজ ও মো. ইমন। তাদের তথ্যমতে খিলগাঁও থানার ত্রিমোহনী থেকে দুইটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
[৪] ডিবি প্রধান বলেন, ভুক্তভোগী সাইফুল, কচি, রিপন ও সুমন বন্ধু ছিলেন। সাইফুল পদ পাওয়ার পর থেকে তাদের সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হয়। তারা পৃথক দল হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে থাকেন। রিপন গ্রুপের সদস্য বাশার হত্যা মামলায় সাইফুল প্রধান আসামি ছিলেন। এরপর সাইফুল জেল থেকে জামিন নিয়ে বের হলে সুমন ও রিমন গ্রুপ এলাকায় আধিপত্য কমে যাওয়ার ভয়ে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই রিপন, কচি, সুমনসহ প্রায় ১৩ জন ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। রিপন ও সুমন সাইফুলকে গুলি করে। এর আগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিপনসহ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :