রাজু চৌধুরী: [২] চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং মডেল থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকা থেকে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৩] শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সিএমপির জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ এলাকা থেকে কৌশলে সীতাকুণ্ড থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ১৪ বছরের এক নাবালিকা শিশুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।
[৪] বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের ডবলমুরিং মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হয় এবং গ্রেপ্তারে অভিযানে নেমে ট্রাকের সহযোগী মো. মেহেদী হাসান মুন্না (১৯), সিকিউরিটি গার্ড সাকিব (২১) এবং মো. হাসান তারেককে (৪০) গ্রেপ্তার করে।
[৫] মামলার এজাহারে জানা যায়, ভিকটিম (১৪) গত ০৫ সেপ্টেম্বর তার ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী আমেনা আক্তার (২৬) এর সাথে ডাক্তার দেখানোর জন্য আগ্রাবাদ যায়। আগ্রাবাদ যাওয়ার পর ভিকটিম লোকের ভীড়ে হারিয়ে গেলে তার ভাবিকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে কান্না করতে থাকে। এসময় মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না ভিকটিম এর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে মেয়েটিকে অপর অভিযুক্ত মোঃ শাকিব (২১) এর ভাড়াবাসা সীতাকুন্ড থানাধীন কালুশাহ নগরস্থ শাহ আলম প্রকাশ টাংগীর খালি ভাড়াঘরে নিয়ে যায়। সেখানে আরেক সহযোগী মোঃ হাসান তারেক রনি (৪০) সহ মেয়েটিকে মৃত্যুর ভয়ভীতি দেখিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
[৬] পরবর্তীতে ১৫ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না (১৯) পুনরায় ভিকটিমের বাসায় আসলে ভিকটিম তাকে দেখে ভয়ে কান্না শুরু করে এবং তার ভাইকে বিস্তারিত জানায়। তখন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করে। থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনায় জড়িত অন্য দুইজনের ব্যাপারে তথ্য দেয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে ডবলমুরিং মডেল থানার একটি টিম সীতাকুন্ড থানাধীন বেরিবাঁধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মোঃ শাকিব (২১) ও মোঃ হাসান তারেক রনি (৪০) কে গ্রেপ্তার করে।
[৭] এসি আরিফ হোসেন আরো জানান, আসামীর বিজ্ঞ আদালতে ঘটনায় জড়িত থাকার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে।