শিরোনাম
◈ ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু ◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত ◈ কতটুকু জায়গা ছাড়তে হয় বাড়ি করার সময়, জেনে নিন আইনে কী আছে ◈ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:১৫ রাত
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রেজা ঘটক: বিগত ৫০ বছরে আমরা যেসব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হারিয়েছি

রেজা ঘটক : একসময় আমাদের একটা আদমজী পাটকল ছিলো, আমাদের একটি নিউজ প্রিন্ট মিল ছিলো, আমাদের অনেক চিনিকল ছিলো, বিগত ৫০ বছরে আমরা দুঃশাসনের কারণে এসব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হারিয়েছি। আশির দশক পর্যন্ত আমাদের একটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিজ ছিলো। সেই এফডিসি এখন পচা দুর্গন্ধময় একটি রাষ্ট্রীয় বোঝায় পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রীয় এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের জন্য সরকারগুলোর ভুল সিদ্ধান্তই দায়ী। কিছুদিন পর আমাদের বলতে হবে আমাদের একসময় গ্যাস ছিলো, আমাদের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ছিলো, আমাদের চা বাগান ছিলো, আমাদের রেলওয়ে ছিলো। বাস মালিকদের দৌরাত্মের কারণে আমাদের রেলগাড়ি ও রেললাইন বাড়েনি। রাষ্ট্রীয়ভাবেই রেলের ওপর কখনোই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি কেন? কোনো সরকার এর সঠিক জবাব দিতে পারবে না।

আমাদের একটি দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরি ছিলো। সেখানে এখন নাকি হরিণের চাষ হয়। আর আইটি ভিলেজ করা হবে। একটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে বিকল্প প্রতিষ্ঠানের ধারণা যারা দেয়, সেখানে তাদের ভাগ-বাটোয়ারার ব্যাপার স্যাপার জড়িত। পাট, তামাক, চা, চিনি এসব খুব পরিকল্পিতভাবেই ধ্বংস করা হয়েছে। এখন প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। এক সময় আমাদের ধানও থাকবে না। আমরা গার্মেন্টসকে অত্যাধিক গুরুত্ব দিয়ে এখন কৃষি শ্রমিক হারাচ্ছি। এখন প্রতি বছর ধান কাঁটার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের স্বেচ্ছাশ্রম লাগে। একসময় এই স্বেচ্ছাশ্রমও আর থাকবে না। আমরা তখন বসে বসে মোবাইলে ভেড়েণ্ডা ভাঁজব। কারণ দেশ ডিজিটাল দুনিয়ায় পৌঁছে গেছে।

ডিজিটাল দুনিয়ায় আবার আমাদের একখান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে, যেখানে আবার ‘অনুভূতি’ খুব কড়া। যা দিয়ে শত্রু এবং সংখ্যালঘুদের মাঝে মাঝে সায়েস্তা করা হয়। আমাদের একসময় যাত্রাশিল্প ছিলো, গ্রাম থিয়েটার ছিলো, বিশ্বখ্যাত মসলিন ছিলো। সেসবের জায়গায় এখন ওয়াজ দখল নিয়েছে। আমাদের মা-খালারা জীবনেও বোরকা পরেনি। আর এখন স্কুলের মেয়েরা পর্যন্ত গরমের মধ্যে বোরকা পরে। এখন হিসাব করে বলুন তো বাংলাদেশ কতোটুকু এগোলো? ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়