খাজা নিজাম উদ্দিন: ধামাকা মাত্র কয়দিনেই কয়েকশত কোটি টাকা নিয়ে আমেরিকা চলে গেলো। পার্থ ঘোষ দিনে দুপুরে কোটি টাকা ঘুষসহ ধরা পড়লো। অথচ বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে জামিন দেয়া হলো। এরকম বিশ্ব দুর্নীতিবাজকে বিশেষ ব্যবস্থায় কেন তাকে জামিন দিতে হলো কেউ জানে না। যাই হোক, মানুষের আশা ভরসার শেষ যায়গা হাইকোর্ট তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন এবং ব্যবস্থা নিয়েছ্নে। এই পার্থ ঘোষ কতো হাজার কোটি টাকা লুটপাট বা পাচার করেছে তার তদন্তের ফলাফল জানি না অথচ তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য সে বিশাল আয়োজন।
ইভ্যালি ৪৭+ লাখ গ্রাহকে এখন ২ লাখ বলছে, দেনার পরিমাণ ৫/৬ কোটি বলছে। অথচ এক একজন গ্রাহকের ১/১৫/৩০ লাখ করে মেরে দিয়েছে। তার চুল ছেড়ার সামর্থ্য কারো নেই। জামাই আদর চলছে। লুটপাটের ডকুমেন্টস সব কী এতোদিনে হাওয়া হয়ে গিয়েছে কিনা কেউ জানে না। লুটের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি না ৩০/৪০ হাজার কোটি টাকা কেউ জানে না। লাখ লাখ মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছে রাসেল সাহেব। অথচ মুক্ত বাতাসে হাওয়া খাচ্ছে। যা ইচ্ছে তা করে যাচ্ছে। সোহেল রানা টানা ১৩ বছর শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে পাঁচার করছে দেখার কেউ নাই। সে ভারতে চলে গেছে দিনে দুপুরে। ১ লাখ পরিবার আজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। এর আগে আর কতো হাজার মানুষের সর্বনাশ করেছে কে জানে। টানা ১১ বছর ধরে এহসান গ্রুপ ১৭ হাজার কোটি টাকা মেরে দিলো। দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। পিকে হালদার হাজার হাজার কোটি টাকা গত ৭/৮ বছরে ধীরে ধীরে পাচার করেছে। সব টাকা নিয়ে চলে গেছে। লাখ লাখ মানুষকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। মানুষের টাকা, দেশের টাকা আর কি ফেরত পাওয়া যাবে?
পদ্মা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক হাজার হাজার কোটি টাকার কতো টাকা উদ্ধার হয়েছে আজও জানা যায়নি। ঋণখেলাপিদের কাছে পাওনা লাখ কোটি টাকা- টাকা কার? টাকা মানুষের। নারায়গঞ্জের দুই ভাই, ফরিদপুরে দুই ভাই ...থাক আর বলা দরকার নেই। লুটপাট আর দুর্নীতির বিবরণী দিলে সেটা লিখতেও হয়তো কয়েক বছর লেগে যাবে। তবে দুর্নীতির হিসাব কিন্তু আছে কারো না কারো কাছে। না হলে যে কোনো দুর্নীতিবাজকে ধরার পড়ে মিডিয়া কীভাবে সব দুর্নীতির হিসাব ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ করে দেয়। এর অর্থ যাদের টা প্রকাশ করছে না, তাদের দুর্নীতি আর লুটপাটের বিবরণী তাদের কাছে আছে। কাজেই সাধু সাবধান। কাঠামোগত উন্নয়ন অনেক হয়েছে, কিছু মানুষ ধনী হবে। তবে বঙ্গবন্ধু যে মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করেছেন, নব্য মোশতাক লুটেরা দুর্নীতিবাজরা সেই রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। এই দুর্নীতি আর লুটপাট অপ্রকাশিত থাকবে না। বিচার হবেই। এই দুনিয়ায় এবং আল্লাহর বিচারে শাস্তি হবেই। যারা দুর্নীতি করে এবং এই দুর্নীতির সাফাই গায়, তারা কখনোই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক নয়, তার নব্য মোশতাক। ফেসবুক থেকে