আখিরুজ্জামান সোহান: [২] বিশ্বের সবথেকে জনবহুল অববাহিকা হিসেবে খ্যাত ভারতের গঙ্গা নদীর পানি দূষনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে। ফলে হা-হুতাশ করছেন সেখানকার মৎস্যজীবীরা। এক সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের গঙ্গা ও তার শাখা নদীগুলো ছিল ইলিশের অন্যতম প্রজনন ক্ষেত্র। ইত্তেফাক
[৩] ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গঙ্গায় দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে যে, মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ইলিশের দল। তাদের গন্তব্য এখন বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে। প্রজননের জন্য গঙ্গার পরিবর্তে বাংলাদেশ কিংবা মিয়ানমারের বড় নদীগুলো বেছে নিচ্ছে ইলিশ।
[৪] সম্প্রতি নদী, বাঁধ ও সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায় নিয়ে কাজ করা ভারতভিত্তিক সংস্থা সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অব ড্যাম রিভার অ্যান্ড পিপলস এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে গঙ্গায় ইলিশের আকালের পেছনে দূষণকেই বেশি দায়ী করা হয়েছে।
[৫] বাংলাদেশের মৎস্য বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, গত দু’বছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি ইলিশ ধরা পড়েছে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের খুলনা, চট্টগ্রাম, ভোলা ও পটুয়াখালীর মোহনায় প্রায় ৫৯ লক্ষ টন ইলিশ উঠেছে।
[৬] ভারতের ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা বলছে, চলতি মৌসুমে গঙ্গায় ইলিশের দেখা যেন মিলছেই না। তার বক্তব্যের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী সদানন্দ হালদারের কথায়ও। তিনি বলেন, ১৫ দিনে মোহনায় ইলিশ শিকার হয়েছে মাত্র ৪০টি। আনন্দবাজার পত্রিকা
[৭] গঙ্গাকে অনেক বেশি অবহেলা করায় সামুদ্রিক ইলিশ তার প্রজন ক্ষেত্রে বদলেছে উল্লেখ করে মৎস্য বিশেষজ্ঞ নীলেশ শেট্টি বলেন, লোনা পানির ঘেরাটোপ থেকে ডিম রক্ষায় প্রজননের জন্য মিষ্টি পানি বেছে নেয় ইলিশ। এ জন্য নদীর মোহনায় ফিরে আসে এই মাছটি। দূষণের গঙ্গার পানির লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় এর বিরপীত চিত্র পাওয়ায় বাংলাদেশ বা মিয়ানমারের নদীতে ডিম ছাড়ছে মা ইলিশ।