রাশিদুল ইসলাম : [২] আফগানিস্তানে মার্কিন ব্যর্থতার পর অনেকে মনে করছেন মুসলিম দেশগুলোতে গণতন্ত্র চলতে পারে না। কিন্তু মরক্কো’তে স্থানীয়, আঞ্চলিক ও সংসদে বহুদলীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য এবং অবাধ হওয়ায় অনেকের ভুল ভেঙ্গেছে। ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট
[৩] দেশটিতে এসব নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছে যাদের ৪৩ শতাংশ গত সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল। দেশটির পশ্চিম সাহারা শুষ্ক ও কম বসতিপূর্ণ অঞ্চল যেটি হিংস্র বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দ্বারা বিচ্ছিন্ন ছিল সেখানেও ৬৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছে।
[৪] ইসলামিস্ট জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি মরক্কোর অন্যান্য দলের সাথে জোট করে ২০১২ সাল থেকে সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছে। এবার এ ইসলামী দলটির সমর্থন কমে সপ্তম স্থানে নেমেছে, মাত্র ১৩ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে দলটি।
[৫] মরক্কোয় ইসলামী দলটি কর্মসংস্থান ও তরুণদের সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন দিতে ব্যর্থ হয়েছে, কর ও বিধিমালার আধুনিকীকরণের সরকারের অনিচ্ছায় ব্যবসায়ীরা ক্লান্ত। রাজনৈতিক ইসলাম পরাজিত হয়েছে ব্যালটে, আফগানিস্তানে বুলেটের মত নয়।
[৬] নির্বাচনের পর মরক্কোয় ব্যবসায়ী নেতাদের ঘনিষ্ঠ উদার-সামাজিক দল আরএনআই নতুন জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবে। বামপন্থীদের অন্তত একটি দল এই জোটে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, অর্থাৎ সামাজিক ইস্যুতে সরকারের মনোযোগ থাকবে।
[৭] মরক্কোর নির্বাচন প্রমাণ হয়েছে গণতন্ত্রই সমাধান। গণতান্ত্রিকভাবে ইসলামী দল নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় গিয়েছে আবার একইভাবে অপসারিত হয়েছে।
[৮] বিশ্লেষকদের চেয়ে মরক্কোর নির্বাচনে স্মার্ট ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ও ইসলামপন্থীরাও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনকে মেনে নিয়েছে।
[৯] ভূ -রাজনৈতিক, মার্কিন নাগরিক ও মিত্রদের বের করে আনার জন্যে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে বাধ্য। কিন্তু ওয়াশিংটনের আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়।