মনিরুল ইসলাম: [২] প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় (পিসিআই) ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। দেশটির অধিকাংশ জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালে খবরটি গুরুত্ব পেয়েছে।
[৩] বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গত ৬ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
[৪] মিনিষ্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ জানান, ভারতের রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি চ্যানেল ‘দূরদর্শন’, অল ইন্ডিয়া রেডিও, রিপাবলিক টিভি এবং বেসরকারি এএনআই ক্লাব থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে। বাংলাদেশের বাইরে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম।
[৫] তিনি আরও জানান, এনডিটিভি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ওপর একটি বিশেষ প্রতিবেদনও সম্প্রচার করেছে। পাশাপাশি টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, হিন্দু, পিটিআই, মিলেনিয়াম পোস্ট ও আনন্দবাজার পত্রিকা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
[৬] এছাড়া দিল্লি ও ভারতের অন্যান্য রাজ্যের বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালগুলো এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এমনকি হিন্দি ও উর্দু ভাষার পত্রিকাগুলোও এই অনুষ্ঠানের ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
[৭] জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রমানের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের সহায়তায় প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ায় এই মিডিয়া সেন্টারটি স্থাপিত হয়েছে। এতে আধুনিক ডিজিটাল সুবিধা রয়েছে।
[৮] পিসিআই’র সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দুঃস্থ মানবতার জন্য তার সংগ্রামের কারণে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেই সমানভাবে জন প্রিয়। আর তাই বঙ্গবন্ধুর নামে এই মিডিয়া সেন্টারটি উদ্বোধন হওয়ায় অনুষ্ঠানটি গণমাধ্যমের মনযোগ আকর্ষণ করেছে।
[৯] ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টার’ এর উদ্বোধন ছাড়াও ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর ও ইন্ডিয়ান মিনিস্টার ফর এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স ড. এস. জয়শংকরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও ইন্ডিয়ান মিনিস্টার অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশি মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
[১০] এছাড়াও তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ‘বাংলাদেশ ওয়ার কমেন্ট্রি’ নামে বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধের ওপর বইটি লিখেছেন ইউ এল বড়ুয়া। এর পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্র পরিচালিত টিভি ‘দূরদর্শনে’ একটি সাক্ষাৎকার প্রদান করেন।