জিএম মিজান : [২] বগুড়ার শাজাহানপুরে দাদনের টাকা সময় মত দিতে না পারায় মারধর ও ইট দিয়ে কান কেটে দেয়ার ঘটনার দায়ের করা মামলায় দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়া (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। গত বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়া উপজেলার রামকৃষ্ণপুর তালতা গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে।
[৩] র্যাব-১২ ক্যাম্প সুত্রে জানা যায়, উপজেলার রামকৃষ্ণপুর উত্তরপাড়া গ্রামের অটোটেম্পু চালক এনামুল হকের স্ত্রী শারীরিক ভাবে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে। দরিদ্র স্বামীর পক্ষে চিকিৎসার খরচ যোগানো সম্ভব হচ্ছিলো না। উপায় আন্ত না পেয়ে তিন মাস পুর্বে নিজের সোনার কানের দুল বন্ধক রেখে দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়ার কাছে থেকে প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা দাদন দেওয়ার শর্তে ২০ হাজার টাকা নেয় নাজমা বেগম।
[৪] কিন্তু পরপর তিন সপ্তাহ দাদনের টাকা দিতে না পারায় গত মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় দাদন ব্যবসায়ী মজনু মিয়া তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে নাজমা বেগমের বাড়ীতে গিয়ে তার স্বামী এনামুল হককে বেদম মারপিট করে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে এনামুল হকের কান কেটে দেয়। এ ঘটনায় নাজমা বেগম বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা করে।
[৫] র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. সোহরাব হোসেন এ প্রতিবেদক-কে বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মজনু মিয়াকে আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শাজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস