জাফর ওয়াজেদ: মোশতাক ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্ট ভোরে খুনিদের বুদ্ধি দেন যে তিনবাহিনীর প্রধানদের আনুগত্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন। তাহলেই রাষ্ট্রপতির দায়িত্বগ্রহণ সহজ হয়। এরপর রশিদ গেলো ক্যান্টনমেন্টে সেনাপতিদের কাছে। রাজি করাতে তাকে আদৌ কোনো বেগ পেতে হয়নি। কেউ আর সংবিধান রক্ষা করার কথা ভাবেননি। মোশতাকের নির্দেশে আধঘণ্টার মধ্যে রশিদ তিন বাহিনী প্রধানকে নিয়ে ঢাকা বেতার ভবনে হাজির হয়। আর বাড়তি নিয়ে গিয়েছিলো জিয়াকে। তারা সবাই বীরোত্তম। কিন্তু বীরত্ব দেখানো তো দূরের কথা, রাষ্ট্রপতিকে হত্যার একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করলেন না।
গোলাশূন্য ট্যাংক আর দুই মেজরের বাধ্যগত ছেলের মতো মোশতাক আনুগত্য স্বীকার করে নিলো। যদিও মোশতাক বৈধ রাষ্ট্রপতি কেন- উপরাষ্ট্রপতিও ছিলেন না। তারা সংবিধান রক্ষার শপথধারী হলেও তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হযেছেন। এই বীরোত্তমরা স্বাধীন দেশে মাত্র দুই মেজরের নির্দেশে নিজেদের কর্তব্যকর্ম ভুলে সেদিন খুনিদের পক্ষাবলম্বন করে স্পষ্ট করেছেন বীরের তকমার মর্যাদা রাখার যোগ্যতা তারা হারিয়ে ফেলেছেন। দেশকে অসাংবিধানিক পথে নিয়ে গিয়েছেন। জনতার আদালত তাদের ক্ষমা করেনি। লেখক : মহাপরিচালক, পিআইবি। ফেসবুক থেকে