মাসুদ আলম : [২] সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, বিয়ের সময় ও বিয়ের পরে বসতবাড়ি বিক্রি করে দফায় দফায় যৌতুকের ১৫ লাখ টাকা দেওয়ার পরেও যৌতুকের আরও চার লাখ টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন স্বামী রকিবুল গাজী। ভিকটিম দিপালী বেগমের মা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য মেয়ের বাড়িতে যান। রকিবুল দিপালীর মায়ের সামনে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। মাথায় আঘাতের পর মাথার খুলি ফেটে মগজ বের হয়ে যায়।
[৩] তিনি আরও বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর নড়াইলের কালিয়া থানার উড়শী গ্রামে এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের পর রকিবুল গাজী সাভারে তার বোনের বাসায় আত্মগোপন করেন। বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে সাভারের ধামসোনা এলাকা থেকে রকিবুল গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিপালীর সঙ্গে ছয় বছর আগে বিয়ে হয় রকিবুলের । যৌতুকের টাকা দিয়ে রকিবুল বাড়ি, ফার্নিচারের দোকান, কাঠের ডিজাইনের মেশিন কিনে ব্যবসা শুরু করেন। হত্যার কথা স্বীকার করেন রকিবুল।