রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, কাবুলের মসনদে তালিবান বসার পর থেকেই তিনি আন্দাজ করেছিলেন জঙ্গিদের সঙ্গে বোঝাপড়া করবে চীন। বিশ্বকেও চীন তালিবানকে সুষ্ঠুভাবে সরকার গড়তে দেওয়ার কথা বলেছে। তালিবানদের সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া, পাকিস্তান আর ইরানও। বাইডেন বলেছেন তিনি জানতেন এসব দেশ চীনের সঙ্গে আফগানিস্তানের ব্যাপারে একাট্টা হবে। স্পুটনিক
[২] ভারতীয় মিডিয়া দি ওয়ালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তালিবানকে আর্থিক নিশ্চয়তা দেবে চীন, আর তাই যদি হয় তবে চীন আর পাকিস্তানের মদতপুষ্ট তালিবান শাসিত আফগানিস্তান চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারে ভারতের জন্যেও।
[৩] এদিকে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, তার দেশ এমন একটি আফগানিস্তান দেখতে চায় যেখানে যুদ্ধ বা সন্ত্রাসবাদ থাকবে না।আফগানিস্তানের সকল দল ও গোত্রের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠন করা হলেই কেবল দেশটিতে টেকসই শান্তি আসতে পারে বলে তেহরান মনে করে।
[৪] আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম যাতে বিঘ্ন না হয় সেজন্য ইরান তার সবগুলো স্থলবন্দর ও ক্রসিং পয়েন্ট খুলে রেখেছে এবং এসব বন্দর দিয়ে নিয়মিত আফগানিস্তানে পণ্য সরবরাহ হচ্ছে।
[৫] হামিদ কারজাইদ বলেন, আফগানিস্তানের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দ বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং তাদের উদ্দেশ্য আফগান জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা।