শিমুল মাহমুদ ও মহসীন কবির: [২] শনিবার সকালে ঢাকার তেজগাঁও মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নার্সিং মিসওয়াইফারি পরীক্ষা পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদেরকে যে কোনো টিকা দেয়া যাবে। তবে এর নিচে যাদের বয়স তাদেরকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য দেশে আমরা দেখেছি, বিশেষ করে আমেরিকা এবং ব্রিটেনে তারা ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দিয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলে তাদের পদ্ধতিটা ফলো করতে হবে।
[৩] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল খোলার পর কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নেওয়া হবে, এ বিষয়ে সোমবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[৪] তিনি বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি টিকা পেয়েছে। মেডিকেল শিক্ষার বাইরে অন্য শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে। ইতোমধ্যে অনেককে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সবাইকে টিকা দিয়ে দিতে পারবো।
[৫] জাহিদ মালেক জানান, সরকার সাড়ে ১৬ কোটি টিকা কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে চীন থেকে নতুন করে ৬ কোটি ডোজ টিকার মধ্যে থেকে প্রতিমাসে ২ কোটি ডোজ করে আগামী তিন মাসে এই টিকা দেশে পৌঁছাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আরো ১০ কোটি ৫০ লাখ ডোজ টিকা কেনা হবে। সেই সঙ্গে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় টিকা আসবে।
[৬] ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে সব টিকা চলে আসবে আ্শা রেখে তিনি বলেন, তাহলে যতো শিক্ষার্থী আছে, শিক্ষক আছে, সবাই টিকার আওতায় চলে আসবে।
[৭] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা পাওয়া গেলে আবার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর চিন্তা করছে সরকার। গণ টিকা কর্মসূচিতে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দিতে যথেষ্ট টিকা হাতে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :