শিরোনাম
◈ আরপিও ২০ ধারার সংশোধনী: রাজনৈতিক অধিকার বনাম আইনগত বাধ্যবাধকতা ◈ পাঁচ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক একীভূত: নতুন ‘সম্মিলিত ব্যাংক’ গঠনের পথে সুযোগ ও ঝুঁকি ◈ নৌ, বস্ত্র ও পাট, পরিকল্পনা ও সমবায়ে নতুন সচিব ◈ যারা চাপে পড়বেন নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন হলে ◈ প্রার্থীদের ঋণতথ্য যাচাইয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আসা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ সাংবাদিককে কনুই মারলেন বিএনপি নেতা সালাম, ভিডিও ভাইরাল ◈ বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিল ভারতীয় দূতাবাস ◈ গণভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে সোমবার! ◈ দুর্দান্ত ব‌্যা‌টিং‌য়ে অঙ্কনের শতক, ঘুরে দাঁড়ালো ঢাকা বিভাগ 

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫৫ দুপুর
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০২১, ০২:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন

সোহাগ হাসান :[২] মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
[৩] ইতিমধ্যেই নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় গো খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টেও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি।
[৪] রোববার (২৯ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যমুনা নদীর তীরবর্তী জেলার চৌহালী ও এনায়েতপুরের বেশ কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। একদিনে ভাঙনে চৌহালী উপজেলার খাসপুকুরিয়া থেকে বাগুটিয়া পর্যন্ত তিন কিলোমিটার ব্যাপী এলাকার বিনানই, চরসলিমাবাদ ও এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রামের অন্তত ২০টি বসতভিটাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, স্কুল মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙন কবলিত এলাকায় ঘরবাড়ি, গাছপালা সরিয়ে নিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তরা। ভাঙনরোধে কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সব হারানো মানুষেরা।
[৫] বন্যা কবলিত হয়ে পড়া জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এ সব এলাকার বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে রয়েছেন দুর্গতরা। বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ক্ষেত ও বীজতলা, আখ, পাট, তিল ও সবজিবাগানসহ বিভিন্ন ফসল।
[৬] ইতিমধ্যেই বন্যা কবলিত জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ১০০ টন চাল ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
[৭] জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রাণ বিতরন শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পাঁচটি উপজেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দ্রুত বরাদ্দকৃত ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্থদের নিকট পৌঁছাবে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বস
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়