সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপি যদি জড়িত না থাকে তাহলে কেন এত নাটক মিথ্যাচার করা হলো? পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা একইসূত্রে গাঁথা। একাত্তরে পরাজিত হয়ে, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্যই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরাই এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
[৩] মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেগম আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত বেগম আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ভায় তিনি এসব কথা বলেন।
[৪] তিনি বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা জানতো বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যরা বেঁচে থাকলে এই হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা ভেবেছিল. বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ বেঁচে থাকলে তাদের স্বপ্ন পূরণ কখনোই হবে না। তাই বঙ্গবন্ধু পরিবারের বাকি সদস্যদের হত্যা করতে হবে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য তারা বহুবার চেষ্টা করেছে।
[৫] হানিফ বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে থেমে যায়নি। ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। কারণ স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা জানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা যতদিন বেঁচে থাকবে স্বাধীনতাকে নস্যাত, ধ্বংস করা যাবে না। বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ রোধ করতে পারবে না। সেজন্যই শেখ হাসিনাকে বারবার আঘাত করা হয়েছে। প্রত্যেকটা ঘটনাই বিএনপি-জামায়াত ঘটিয়েছে। সম্পাদনা: হাসান হাফিজ