শাহীন খন্দকার: [২] জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের আরও বলেন, টিকা কর্মসূচিতে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশে গণটিকা কর্মসূচি বন্ধ নয়, আরো জোরদার করতে হবে।
[৩] জি এম কাদের মনে করেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন আগামী জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতে ৮ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। এতে দরকার হবে ১৬ কোটি ডোজ করোনার টিকা। কিন্তু ২৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৬৯ লাখ ৪৮ হাজার ৬২২ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার ২১৫ জন।
[৫] জাতীয় পার্টিও চেয়ারম্যান বলেন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রয়োজন হবে ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ১৬৩ ডোজ টিকা। প্রতি মাসে গড়ে অন্তত সোয়া ২ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে এই বিপুল সংখ্যক টিকা কখন, কোথা থেকে আসবে এবং কিভাবে প্রয়োগ হবে তা উল্লেখ নেই।
[৬] তিনি বলেন, গণটিকা কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ ছিলো। তার পরেও প্রতিদিন লাখ লাখ সাধারণ মানুষ টিকা পেয়েছেন। তবে আমরা আশা করছি, সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করে আবারো গণটিকা কর্মসূচি চালু করতে হবে।
[৭] গণটিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে সারা পৃথিবী যখন জীবন যাত্রা স্বাভাবিক করে ফেলেছে, তখনো বাংলাদেশের নাম বিশ্বের মধ্যে টিকা প্রয়োগে পিছিয়ে পড়া দেশের তালিকায়। দু:খজনক সত্য হচ্ছে, এশিয়ার মধ্যেও করোনা টিকা প্রয়োগে বাংলাদেশ পিছিয়ে। তাই করোনা প্রতিরোধে গণটিকা কর্মসূচির বিকল্প নেই।
[৮] মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :