সোহাগ হাসান : [২] সিরাজগঞ্জে ও কাজিপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একইসাথে জেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া অভ্যন্তরীণ সকল নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। সেই সঙ্গে চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
[৩] রোববার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টের ওমর ফারুক জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ৬ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৪] টানা কয়েক দিন যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকা। এতে পানি বন্দি হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও পানিতে গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলার গো-খামারিরা।
[৫] পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সদর, কাজিপুর, ও চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর অভ্যন্তরের নিম্নাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বহু ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেই সাথে যমুনা নদীর ভাঙনে জেলার কাজীপুর ও চৌহালীতে প্রায় ৫০টি বসত ভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
[৬] এদিকে, কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, নাটুয়ারপাড়া, চরগিরিশ, মনসুরনগর, নিশ্চিন্তপুর ও তেকানী ইউনিয়নে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এসব এলাকার ১২টি গ্রামে ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
[৭] নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, এই ইউনিয়নের ডিক্রীদোরতা গ্রাম ও জিআরডিপি নৌকাঘাট পয়েন্টে ব্যাপক আকারে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিলীন হচ্ছে আবাদী জমি ও নতুন স্থাপন করা বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার।
[৮] সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পূর্ভাবাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে যমুনা নদীর পানি আরও দু-একদিন বাড়তে পারে। এ সময়ের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রমও করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :